• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
আমদানির খবর

পেঁয়াজের দাম কমলেও খুশি নন ক্রেতারা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৪, ০৯:০২ পিএম
পেঁয়াজের দাম কমলেও খুশি নন ক্রেতারা
পেঁয়াজ। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। প্রকারভেদে কেজি প্রতি দাম কমেছে সর্বোচ্চ ৫ টাকা। তবে এতে খুশি নন বেশিরভাগ ক্রেতা।

ক্রেতারা বলছেন, যে হারে পেঁয়াজের দাম কমার কথা, এখনো সে হারে কমেনি। তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে। এতে অনেকটা ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বিক্রেতাদের।

গত দুই দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ কারওয়ান বাজারে মঙ্গলবার (৭ মে) পেঁয়াজ কিনতে আসা মাহমুদ বলেন, “আমরা যারা ক্রেতা তারা কম দামে পণ্য পেলে স্বস্তিতে থাকি। কিন্তু পেঁয়াজের দাম এখনো বেশি। আজ পেঁয়াজের দাম ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”

মাহমুদ আরও বলেন, “দেশের ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়ায়। সরকার সেদিকে নজর দিচ্ছে না, নজরদারি বাড়ালে সাধারণ মানুষের জন্য অনেক ভালো হয়।”

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের বস্তা সাজাচ্ছেন। পেঁয়াজ পরিষ্কার করছেন। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের দেখা গেছে, তারা পেঁয়াজের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়।  

মঙ্গলবার খুচরা দোকানে দেশি পাবনা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬৫-৬৬ টাকা ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬০ টাকা দরে। এর তিন দিন আগে পাবনা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬৮-৭০ টাকা ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭০ টাকা।

অপরদিকে, পাইকারি দোকানে দেশি পাবনা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৬৪-৬৬ টাকা ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫২-৫৫ টাকা। এর তিন দিন আগে পাবনা পেঁয়াজের দাম ছিল ৬৭-৬৮ টাকা ও ফরিদপুরের পেঁয়াজ ৫৮-৬২ টাকা।

তেঁজগাও থেকে আসা শাহ্ আলম বলেন, “পেঁয়াজের দাম একটু কমেছে। তবে যে হারে কমা দরকার সে হারে কমেনি। যারা সিন্ডিকেট করেছিল তারা পেঁয়াজ ছেড়ে দেওয়ায় হয়তো দামটা কমেছে। এর বাইরে কিছু মনে হচ্ছে না।”

আরেক ক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, “পেঁয়াজের দাম এখনো বেশি। কেজিতে এখনও ৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। যা ৫০ টাকার মধ্যে থাকা দরকার। সামনে কোরবানির ঈদ আসছে। দাম বেশি হলে স্বস্তি কমে যাবে।”

খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা শিকদার বলেন, “ভারত থেকে আমদানির খবরে পেঁয়াজের দাম কমেছে। এতে লোকসান হচ্ছে। কারণ গত কয়েকদিন আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৬০ টাকা করে। এখন কেনা দামে দিতে হচ্ছে। সারাদিন বসে থাকাটা লোকসান।”

পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা কালাম শেখ বলেন, “গত কয়েকদিনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম ৩-৪ টাকা কমেছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আসার খবরে দাম কমেছে। তবে বাজারে ক্রেতা কম। ভারতীয় পেঁয়াজ কবে আসবে জানি না।”

গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বলা হয়, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে বন্ধ থাকবে।

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপ সূত্র জানা গেছে, শনিবার (৪ মে) ভারত সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালকের দপ্তর থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।

তবে কবে নাগাদ ভারতীয় পেঁয়াজ দেশের বাজারে আসবে তা নিশ্চিত নন ব্যবসায়ীরা। তবে এরই মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।

Link copied!