২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঘাটতির লক্ষ্য রেখেই জাতীয় সংসদে পাস হলো ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট।
সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নতুন এই বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ ভাগে নামাতে চায় সরকার।
রোববার (৩০ জুন) বেলা ১১টায় অধিবেশন শুরুর পর নির্বাচন কমিশন, পরিকল্পনা বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদসহ নানা বিভাগ-মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বরাদ্দ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
এ সময় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জন্য ৩ হাজার ২১৭ কোটি টাকা, জন-নিরাপত্তায় ২৬ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়।
শনিবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তার বক্তব্যে এবারের বাজেটে কিছু নীতি সংশোধনের প্রস্তাব তুলে ধরেন। পরে সংসদ সদস্যদের কণ্ঠভোটে পাস হয় অর্থবিল। আজ পাস হলো নতুন অর্থবছরে বাজেট। আর তা কার্যকর হবে কাল সোমবার থেকে।
অর্থমন্ত্রী গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে ‘টেকসই উন্নয়নের পরিক্রমায় স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নযাত্রা’ স্লোগান সম্বলিত এ বাজেট পেশ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট চলতি অর্থবছরের বাজেটের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। এতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের বাজেটে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজেটে রাজস্ব খাতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে কর হিসেবে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট থেকে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা।
বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ঋণ পাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে বাজেটে। অভ্যন্তরীণ খাতের মধ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে রেকর্ড ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আরও ৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে বাজেটে।
আয়কর ও মুনাফার ওপর কর থেকে রাজস্ব আদায় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। আমদানি শুল্ক থেকে ৪৯ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ৬৪ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা, রপ্তানি শুল্ক থেকে ৭০ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে ৫ হাজার ৮০৫ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে ১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বিদেশি অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।