প্রায় এক মাস কয়েক দফায় বৃদ্ধির পর রমজানের প্রথমদিন কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে ১০ টাকা কমে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) চারটি বড় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মুরগির দাম সমন্বয়ের জন্য ডাকে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেখানে ব্রয়লার মুরগির দাম পাইকারি পর্যায়ে কেজিতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কমিয়ে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায় বিক্রি করতে রাজি হন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, “মুরগির দাম ২০০ টাকার বেশি হতে পারে না। অথচ সেখানে বৃহস্পতিবারও মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা দরে। অস্বাভাবিক মূল্যের কারণে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি।”
এদিকে বৃহস্পতিবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) বোর্ডরুমে ‘রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও বাজার পরিস্থিতি’ নিয়ে মতবিনিময় সভা হয়।
এতে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, “শিগগিরই বাজারে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম না কমালে সরকার এগুলো আমদানির পথে হাঁটবে।”
খুচরা দোকানদাররা জানান, খামার পর্যায়ে দাম কমানোর সুফল পেতে আরও ২ থেকে ১ দিন সময় লাগবে। সরবরাহ পর্যায়ে দাম কমলে খুচরা পর্যায়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে ক্রেতারা বলছেন, শুধু বৈঠক করে দাম কমানো সম্ভব হবে না। উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে নজরদারি প্রয়োজন।