রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে আদম তমিজী হককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৮সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
সূত্রে জানা গেছে, আদম তমিজি হকের এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রত হয়েছে আওয়ামী লীগ। ফেসবুক লাইভে এসে পাসপোর্ট পোড়ানোর ঘটনায় দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে বলে মনে করেন দলটির নেতারা। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ দলের হাইকমান্ড।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন। ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার এক হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এ দেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।
এর আগে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে নিয়ে আদম তমিজী হকের ফেসবুক স্ট্যাটাস ও লাইভ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাসেলের বিরুদ্ধে সম্পত্তি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন তমিজি হক।
এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “এরই মধ্যে আদম তমিজী হককে সংগঠন থেকে সরাসরি বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যিনি প্রকাশ্যে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পোড়াতে পারেন, তিনি তো দেশের নাগরিক থাকতে পারেন না। এজন্য তাকে সরাসরি বহিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান সংবাদ প্রকাশকে জানান, রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির বাসায় অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে তমিজী হককে অব্যাহতি প্রদানের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।”
শেখ বজলুর রহমান বলেন, “কার সঙ্গে কার কী হয়েছে, এটা আমরা জানি না। কিন্তু তার ভিডিওটি আমাদের যথেষ্ট বিব্রত করেছে। তিনি শুধু দলীয় বিষয়ে বলছেন সেটা না, তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়েছেন, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। সে কারণে আমরা তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করব। তিনি আওয়ামী লীগের বিষয়েও অনেক নেতিবাচক কথা বলেছেন।”
শেখ বজলুর রহমান আরও বলেন, “কচি ভাইসহ আমরা ১০-১২ জন নেতা তার (কচি) বাসায় বসেছিলাম। কাদের ভাই সিঙ্গাপুর। তিনি এলে দেখা করে অনুমতি নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”