নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া ও কাউকে ভোট দিতে বাধ্য করা দুইটোই মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রত্যেকের অধিকার আছে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। এখন কেউ যদি অংশগ্রহণ না করেন, সেক্ষেত্রে তিনি তার অধিকার ক্ষুণ্ন করলেন। কিন্তু এতে নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে তাদের আহ্বান জানানো উচিত। বিএনপিকে আহ্বান জানানোও হয়েছে, কিন্তু নির্বাচনে না এলে আমাদের কিছু করার নেই।”
সরকার দাবি-দাওয়া না মানায় বিএনপি নির্বাচনে আসছে না। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার চেষ্টা করেছে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার। কিন্তু তারা যদি না এসে থাকে, তাহলে সরকারের কিছু করার নেই।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে বাধা দেওয়া ও ভোট প্রদানে বাধ্য করা দুটোই মানবাধিকার লঙ্ঘন।
এর আগে, বেলা ১১টায় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইসি ও কমিশনের অন্যান্য কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে। বৈঠকে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের কাছে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানান বিষয় তুলে ধরে মানবাধিকার কমিশন।