নিখোঁজের একদিন পর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর থেকে সোহেল মিয়া (৩৮) নামের এক প্রাইভেট কার চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে ফ্লাইওভারের ওপর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোহেল শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার আকনকান্দি গ্রামের মোকলেছুর রহমানের ছেলে। সবুজবাগের কদমতলায় ভাড়া বাসায় সপরিবারে থাকতেন তিনি। এক ছেলে ও এক মেয়ের আছে তার।
নিহতের স্ত্রী শারমিন সুলতানা বলেন, “আমার স্বামী প্রাইভেট কারচালক ছিলেন। আমাদের নিজেদের গাড়ি। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গাড়ির কাজ করানোর জন্য সবুজবাগের বাসাবো ঝিলপাড় এলাকার গ্যারেজে যান। বিকেল ৪টা পর্যন্ত তার সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপর তাকে আর মোবাইলে পাওয়া যায়নি।”
শারমিন সুলতানা আরও বলেন, “পরে গাড়ির মিস্ত্রি রুবেলের সঙ্গে কথা হয়। রুবেল জানান সোহেল চলে গেছেন, কিন্তু সে বাসায় আসেনি। গাড়িটি গ্যারেজে রয়েছে। পরে আমি গ্যারেজে গিয়ে রুবেলের সঙ্গে কথা বলি। তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় বলি থানায় জিডি করব। তখন রুবেল বলেন জিডির দরকার কেন। বিষয়টি সবাইকে জানাচ্ছি কেন। পরে রাতেই সবুজবাগ থানায় জিডি করি। শুক্রবার সকালে ড্রাইভারদের ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সংবাদ পাই ধোলাইপাড় ফ্লাইওভারের ওপরে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে সেখানে গিয়ে দেখি সোহেলের মরদেহ।”
শারমিন সুলতানা দাবি করে বলেন, “এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। গ্যারেজে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে মারা যাওয়ায় ওখানে ফেলে দিয়ে আসে। কয়েকজন মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশের উপপরিদর্শক আমির হোসেন বলেন, “সংবাদ পেয়ে সকাল ৬টায় ফ্লাইওভারের ওপর থেকে সোহেল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের মাথায় জখম, কপাল ও ডান কাঁধে ক্ষতচিহ্ন, নাক থেঁতলানোসহ একাধিক আঘাতচিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।”