• ঢাকা
  • সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপির কর্মসূচি প্রমাণ করে তারা দেশে অস্থিরতা চায়: তথ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম
বিএনপির কর্মসূচি প্রমাণ করে তারা দেশে অস্থিরতা চায়: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির সাম্প্রতিক সময়ের কর্মসূচিই প্রমাণ করে- তারা দেশে একটা অস্থিরতা তৈরি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি আরও বলেন, “তারা (বিএনপি) ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরেও আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছে। ১১ জানুয়ারি তারা আবার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেখানেও তারা অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালাবে।”

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, “আমরা ১০ ডিসেম্বর পাহারায় ছিলাম এবং ৩০ তারিখ ডিসেম্বরেও আমরা সতর্ক পাহারায় ছিলাম। ভবিষ্যতেও তারা এই কর্মসূচির নামে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা উচিত জবাব দেব।”

বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকার সেই ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে এবং করবে। কিন্তু তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা করার অপচেষ্টা চালালে জনগণ প্রতিহত করবে, জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা থাকবে।”

বিএনপি সাড়ে ১৩ বছর ধরেই সরকারের বিদায় চাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “সরকারকে বিদায় দিতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হবে। অন্য কোনো পথে সরকারের বিদায় দেওয়া সম্ভব নয়, এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা। কিন্তু তারা সেটিতে বিশ্বাস করে না, তারা পানি ঘোলা করে মাছ শিকার করতে চায়।”

বিডিআর বিদ্রোহে তাদের (বিএনপি) ইন্ধন ছিল এবং তখন থেকেই তারা সরকারের বিদায় চাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে হাছান মাহমুদ দেশের টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। কোনো কোনো টেলিভিশন শুধু বিদেশি সিরিয়াল নির্ভর ছিল জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিপত্র দিয়ে একটি টেলিভিশন চ্যানেল একটির বেশি বিদেশি সিরিয়াল একই সময়ে দেখাতে পারবে না সেটি কার্যকর করেছি। ফলে আমাদের দেশেও এখন সিরিয়াল নির্মাণ হচ্ছে।”

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা আরও বিধি করেছি, বিদেশি শিল্পী দিয়ে বিজ্ঞাপন নির্মাণ করলে প্রচলিত ট্যাক্সের বাইরে শিল্পী প্রতি দুই লাখ টাকা এবং যে টেলিভিশন চ্যানেল সেই বিজ্ঞাপন দেখাবে তাদের বিশ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে দিতে হবে। কারণ আমাদের শিল্পীরা অনেক স্মার্ট এবং ভালো অভিনয় করে, দেখতেও সুন্দর। তাদের বাদ দিয়ে বিদেশিদের নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা আমরা খুঁজে পাইনি।”

শিল্পীদের দাবি প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “যতটুকু সম্ভব সবই পূরণ করার চেষ্টা করছি। যে সব দাবি-দাওয়া ছিল না, সেগুলোর ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিকল্পনা আছে টেলিভিশন মাধ্যমে যারা অভিনয় করেন তাদের জন্য জাতীয় পুরস্কারের প্রবর্তন করা যায় কি না, সেটি আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনায় এনেছি।”

Link copied!