মার্কিন ভিসা নীতিসহ বাংলাদেশের সব অসম্মানের জন্য বিএনপি দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, “পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তারা মনে করেছিল স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষার লড়াই শুরু করেন। সেজন্য বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।”
মার্কিন ভিসা নীতি সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের কড়া জবাব দেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, “ফখরুল সাহেব বললেন ভিসা নীতির কারণে বাংলাদেশের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরাও সেটি বলেছি। একটা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য ভিসা নীতি অসম্মানজনক। তিনি কি ভুলে গেছেন তাদের নেতা বেগম খালেদা জিয়া ২০১২ সালে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চিঠি লিখেছিলেন। লবিস্ট নিয়োগ করে বিএনপি র্যাবের ওপর স্যাংশন দেওয়ার জন্য কাজ করেছিল। ভিসা নীতিসহ বাংলাদেশের সব অসম্মানের জন্য বিএনপি দায়ী। এমনকি বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন।”
বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা লড়াই-সংগ্রাম করে আজ এ পর্যন্ত এসেছি। ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগ কোনো পরোয়া করে না। আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। আর সেই নির্বাচন যদি কেউ বাধাগ্রস্ত করতে আসে, তাহলে তাদের রাজপথে প্রতিহত করব। আমরা শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে আপোসহীন।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি।
এতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।