বিএনপিকে দেশের জনগণ চিরতরে প্রত্যাখ্যান করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেছেন, “বিএনপির হাতে দেশে হত্যার রাজনীতি শুরু হয়েছে।”
রোববার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় যাত্রাবাড়ী নুর সেন্টারের নীচ তলায় ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে’ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, “রাজনীতি আমরা করছি অনেকটা মৃত্যুকে হাতে নিয়েই। শেখ হাসিনাকে যে হত্যাচেষ্টা করা হবে, এটা আমরা জানতাম। আমরা জানতাম ওনাকে এত সহজে সামনে এগিয়ে যেতে দেওয়া হবে না।”
তিনি বলেন, “একাত্তরে গোলাম আযমের নেতৃত্বে গণহত্যা হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত হাওয়া ভবন বানিয়ে বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মী হত্যা করেছে। ২১ আগস্ট তার মধ্যে অন্যতম। গোলাম আযমের গণহত্যা আর তারেক জিয়ার গণহত্যা একই। একাত্তরে গণহত্যার কারণে জামায়াত দেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। এরপর বিএনপিরও এ দেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার থাকার কথা নয়।”
মতিয়া চৌধুরী বলেন, “অতীতে সবাই ক্ষমতায় এসেছেন পেছনের দরজা দিয়ে, একমাত্র আওয়ামী লীগ এসেছে জনগণের ভোটের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগ যা বলে, তা করে। শেখ হাসিনা যা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাই করেন। বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক কবিরাজ আছে, যারা দেশের দুঃসময়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন। আর শেখ হাসিনা এসব রাজনৈতিক কবিরাজদের অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।”
তিনি আরও বলেন, “৬ দফা প্রশ্নে মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ভোট দিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু মানুষকে মুক্তি দিয়েছেন। আপনার আলোকিত ও উন্নত দেশের স্বার্থে শেখ হাসিনাকে ভোট দেবেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে। অতীতে অনেক সরকার ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন শব্দটি পেপারের কাগজে আসা শুরু হয়েছে শেখ হাসিনার আমলে। এখন আর দেশে চাল দেওয়ার জন্য মিসকিন পাওয়া যায় না।”
ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও ৪৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ কামাল ও মহিউদ্দিন মহি। এছাড়া অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশিদ মুন্না।