আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, “বিএনপি-জামায়াত একটি দেশের পণ্য বর্জনের নামে এ দেশের শান্তি-সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়। এরা দেশের মানুষের দুঃখ কষ্ট বৃদ্ধি করার জন্য বাজার ব্যবস্থায় নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা করছে।”
রোববার (২৪ মার্চ) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ আয়োজিত খাদ্যসমগ্রি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “যারা দ্রব্যমূল্য নিয়ে কারসাজি ও মজুদদারি করে মানুষের কষ্ট বৃদ্ধি করে, সে সকল অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমরা সব সময় সোচ্চার। তাদের এই অপকর্মকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। তাদের বিপক্ষে সব সময় সরকারের অবস্থান রয়েছে। সরকার তার জায়গা থেকে যেমন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তেমনি আমাদের নেতাকর্মীরা দেশের মানুষদের সজাগ করছে ও কষ্ট লাঘবের জন্য কাজ করছে।”
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি-জামায়াত মানুষের কষ্ট বাড়ানোর জন্য নানা চেষ্টা করছে। তারা আমাদের সম্প্রীতির বাংলাদেশকে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিতে চায়। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠনে সব থেকে বড় বাধা হলো এই বিএনপি।”
নাছিম বলেন, “পবিত্র রমজান মাস হলো সিয়াম, সাধনার ও সংযমের মাস। বিএনপি-জামায়াত পবিত্র রমজান মাসে সংযমী না হয়ে অসংযমী হয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের পক্ষে কথা না বলে যারা কারসাজি করে তাদের নানা কৌশলে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য বলেন, “দেশের মানুষের প্রাণপ্রিয় ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হলো আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। জনগণের কল্যাণে আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের প্রতি আমাদের যে দায়িত্ব সেটি পালনের জন্য সব সময় আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকে।”
বাহাউদ্দিন নাছিম আরও বলেন, “স্বাধীনতার ৫৩ বছর পার হয়েছে। গণহত্যার যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তা আমরা এখনো পাইনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে এত বড় নারকীয় হত্যাকাণ্ড পৃথিবীতে হয়নি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা যে গণহত্যা চালিয়েছে তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমরা আদায় করতে চাই। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে এ স্বীকৃতি পাই, তবে পাকিস্তান হবে অপরাধী রাষ্ট্র। পাকিস্তান সেনাবাহিনী হবে অপরাধী। তাদের অপরাধী প্রমাণের মধ্য দিয়ে আমাদের ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের মর্যাদা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”