বাংলা ভাষার ওপর যারা হিংস্র থাবা দিয়েছিল, বিএনপি তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির আয়োজনে জাতীয় সাহিত্য উৎসবে বক্তব্য দেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ভাষাকে বিকৃত করতে চায়, সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। এসব অপশক্তি বিএনপির ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, “পাকিস্তানিরা আমাদের রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত করলেও তারা আমাদের ভাষাকে বিভক্ত করতে পারেনি। আমাদের হৃদয়, কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে বিভক্ত করতে পারেনি। কলকাতা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করছে। আমাদের ভাষা দিবসে তাদের শ্রদ্ধা দেখে অভিভূত হই। অনেকেই এদিনে বাংলাদেশে এসেছেন।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বাঙালি অনেক জাতিগোষ্ঠীর তুলনায় অপেক্ষাকৃত গরিব হলেও মেধাবী। ইউরোপের বাইরে যিনি প্রথম নোবেল পান, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আমরা মেধার স্বাক্ষর যুগে যুগে রেখেছি। ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর যখন বলা হলো উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র বাংলা ভাষা, তখন জিন্নাহর সামনে দাঁড়িয়ে কেউ প্রতিবাদ করবে, তা ভাবা যায়নি। বাংলা ভাষার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সোহরাওয়ার্দীতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছিলেন। আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে মাতৃভাষা বাংলা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করতে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।