• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডেও বিএনপি অপরাজনীতি করছে : কাদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৩, ০৭:০০ পিএম
বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডেও বিএনপি অপরাজনীতি করছে : কাদের

রাজধানীর বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনা নিয়েও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য-অপরাজনীতি করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (৫ এপ্রিল) বিকালে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর ফুলবাড়ীয়ায় বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের দুর্ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি এবং ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। অগ্নিকাণ্ড ঘটার পর থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তারই নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা প্রদান করেছে।”

তিনি বলেন, “আগুনের লেলিহান শিখা ৪টি মার্কেটের ৫ হাজার দোকান ভস্মীভূত করার পাশাপাশি পুড়িয়ে ছাই করেছে ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন ও তাদের জীবিকার অবলম্বন। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ড নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিটের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটসহ সরকারের ৬টি সংস্থা সরাসরি অংশগ্রহণ করে এবং তাদের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।”

বিএনপি নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, “বিএনপি আসলে মানুষের জন্য রাজনীতি করে না; জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব না করে শুধু ঘরে বসে থেকে বিবৃতি প্রদান করে। ফলে এ রকম ভয়াবহ দুর্ঘটনা নিয়েও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য তাদের চিরাচরিত অপরাজনীতির বহিঃপ্রকাশ।”

তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিএনপি তামাশার নির্বাচনে বিশ্বাস করে না।’ অগণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তির প্রতিভূ বিএনপি এদেশে বারবার তামাশার নির্বাচন আয়োজন করেছে। সামরিক শাসন জারি রেখে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ/না ভোট, সেনা প্রধানের দায়িত্বে থেকে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এবং ১৯৭৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন করেছিল। অনুরূপভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য ২০০৭ সালে বিএনপি যে নির্বাচনের আয়োজন করে গণআন্দোলনের মুখে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়।”

তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে সরকার পরিবর্তন হবে। বাংলাদেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। দেশে অগণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রবর্তক বিএনপির ওপর জনগণ আর আস্থা রাখতে চায় না।”
 

Link copied!