আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, “বিএনপি হচ্ছে একটি বিশ্বাসঘাতক ও মীর জাফরের দল।”
বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আজম বলেন, “বিএনপিকে বিশ্বাস করা যায় না। তারা বিদেশিদের হাতে আজকে বাংলাদেশকে তুলে দিতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, “বিএনপি দেশ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চায়। আর আওয়ামী লীগ দেশের কল্যাণে দেশ টিকিয়ে রাখতে চায়।”
এর আগে সমাবেশে বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকারের কুফল তুলে ধরেন এবং শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন চিত্র নেতাকর্মীদের কাছে উপস্থাপন করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। তিনি বলেন, “বিএনপি ও জামায়াত আবার ক্ষমতায় আসতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, “বিএনপি আজকে নয়াপল্টনে সরকার পতনের লক্ষ্যে এক দফা আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তারা ভালো করেই জানে, আওয়ামী লীগ কোনো দিন আন্দোলনকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে প্রতিরোধ করার ডাক দিলে, তাদের কোথাও খুঁজেও পাওয়া যাবে না।”
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, “বেশি উড়বেন না, তাহলে হাতপাখাও থাকবে না।” এ সময় তিনি বিএনপি ও জামায়াতকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিতাড়িত করার আহ্বান জানান।”
আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক এ কে এম আনদুল আওয়াল শামীম বলেন, “চিকিৎসক, শিক্ষক, শ্রমিক, সাংবাদিকসহ দেশের পেশাজীবী ও শ্রমজীবী সকল মানুষ আওয়ামী লীগকে আনারও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায়। আওয়ামী লীগের বিষয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। আপত্তি শুধু বিএনপি-জামায়াতের। তাই তারা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ হচ্ছে আন্দোলন ও সংগ্রামের দল। আওয়ামী লীগকে কখনো আন্দোলন করে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব না। ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে নির্বাচনের মাধ্যমে করতে হবে।”