বিএনপির ডাকা সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। তবে রাজধানীতে হরতালের তেমন প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। গণপরিবহনের সংখ্যা কম থাকলেও যান চলাচল অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। দূরপাল্লার বাসগুলোতেও যাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টহল দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় হরতাল শুরু হয়েছে।
প্রথমে সোমবার ভোর ৬টা থেকে হরতাল ডেকেছিল বিএনপি। পরে কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমদ আল সাবাহ-র মৃত্যুর কারণে দেশে একদিনের (সোমবার) রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করায় হরতাল একদিন পিছিয়ে মঙ্গলবার পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীর মুক্তি এবং সরকারের পদত্যাগের দাবিতে চলমান যে আন্দোলন তারই ধারাবাহিকতায় ১৮ ডিসেম্বর (পরে ১৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল ঘোষণা করছি।
পরে ‘জরুরি ঘোষণা’ শিরোনামে রিজভীর বরাত দিয়ে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩-এর পরিবর্তে ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হবে।
গত সপ্তাহে ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নিয়মিত হরতাল-অবরোধ পালন করে আসছে দলটি।