বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ-নৈরাজ্য ও ‘দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের’ প্রতিবাদে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়সহ ৯টি স্থানে সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। এতে অংশ নিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬১০টি ইউনিট, ৭৫টি ওয়ার্ড ও ২৪টি থানার নেতারা। একইদিন উত্তর আওয়ামী লীগের ৫৪টি ওয়ার্ড ও ২৬টি থানার নেতা-কর্মীরা সাতটি স্থানে সতর্ক অবস্থান নেয় এবং সমাবেশ করেছে। তবে এই ৯টি স্থানের আশপাশে কোথায়ও গণমিছিল কিংবা সমাবেশ করতে দেখা যায়নি বিএনপি-জামায়াতকে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউসহ আওয়ামী লীগের নির্দেশে ৯টি স্থানে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ করেছে সরকারি দলটি। এ সময় তারা বিএনপি-জামায়াতের ‘নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন গোটা রাজধানী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন, প্রচার সম্পাদক সাইফুন্নবী চৌধুরী সাগর ও দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ প্রমুখ। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে বিএনপি-জামায়াত জোট দেশব্যাপী সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি করছে। গণমিছিলের নামে কোনো অরাজকতা করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন তারা। বিএনপি যদি অতীতের মতো জ্বালাও, পোড়াও করতে চায় তাদের মোকাবিলা করার কথা জানান নেতারা।
এ সময় জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, “আন্দোলন সংগ্রামের নামে বিএনপি-জামায়াত যদি মানুষের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।”
এইজন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জান-মাল রক্ষার দায়িত্বে আমরা রাজপথে আছি
বিএনপি মিছিল-সভার নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। তিনি বলেন, “বিএনপির কর্মসূচিকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখি না। এটা তাদের ফাঁকা আওয়াজ। ১০ ডিসেম্বর গরুর হাটে গিয়ে সভা করেছে। আজ তারা গণমিছিলের ডাক দিয়েছে। কিন্তু মানুষ তাদের পক্ষে নেই। আমরা রাজপথে আছি। জনগণের জানমাল রক্ষার পবিত্র দায়িত্বে রয়েছি। তারা (বিএনপি) মিছিলের নামে, সভার নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না।”
বিএনপি সাপের মতো খোলস বাদলায়
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, “বিএনপির জোট কিছু দিন পর পর সাপের মতো চামড়া বাদলায়। সাপ যেমন কিছু দিন পরপর চামড়া বদলায়, বিএনপিরও একই দশা। কোনো সময় ২০ দল হয়, কোনো সময় ২৪ দল হয়, আবার ১২ দল হয়। এখন বলছে ৩৩ দল।” তিনি আরও বলেন, “এই ৩৩ দলের মধ্যে ৩০ দল খুঁজে পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে। হাতেগোনা কয়েকটি দল ছাড়া বাকিগুলো আসলে সাইনবোর্ড সর্বস্ব দল। আজকের বিএনপির গণমিছিলে ঢাকা শহরের মানুষ আতঙ্কিত। সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষের পাশে থাকা। কেউ যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা মাঠে আছি। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় আমরা জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করব।”
সরেজমিনে ৯টি স্থান ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর উত্তরা, মহাখালী, শ্যামলী, ফার্মগেট, মিরপুর, গাবতলী, মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বর, রামপুরা, বাড্ডা ইউলুপ এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে টিম পাহারা দিচ্ছে। এসব স্থানে মহানগর-থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যাত্রাবাড়িতে অবস্থান কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।
এতে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর সভাপতিত্বে ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আবুল কালাম অনুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।
বিএনপি-জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে উত্তরায় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ও ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। মহাখালীতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এবং অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।
জনগণ বলছে ‘কুকুর হইতে সাবধান’
বিএনপি ঘোষিত গণমিছিল বিরোধী কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামলীতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “আমরা কাউকে আক্রমণ করব না। তবে আক্রান্ত হলে কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আগে বড়লোকদের বাড়ির গেইটে লেখা থাকতো ‘কুকুর হইতে সাবধান’ এখন দেশের জনগণ বলেছে, তারেক রহমান হইতে সাবধান।”
এ সময় বিএনপি রাষ্ট্রকে ও গণতন্ত্র দুটি প্রতিষ্ঠানকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, “তারা (বিএনপি) নাকি রাষ্ট্র মেরামত করবে! বিএনপি এ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে। এই রাষ্ট্রের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। এরা (বিএনপি) নষ্ট রাজনীতি করে। যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না, রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে।”
রাজধানীর শ্যামলী স্কয়ার প্রাঙ্গণে ‘বিএনপি জামায়াতের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে আয়োজিত ‘শান্তি সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
এদিন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ফার্মগেটে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।
মিরপুর গাবতলীতে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং সাবেক সদস্য আবদুল আওয়াল শামীম।
মিরপুর গোল চত্বরে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর। রামপুরায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম এবং বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এছাড়াও রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সতর্ক পাহারায় ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। মোড়ে মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগসহ দলটির সকল সহযোগী সংগঠন।
লাভলু ও সজলের শোডাউন
গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামায়াতের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে বিশাল শোডাউন দিয়েছে রাজধানীর ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু ও ডেমরা থানার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। শুক্রবার ওয়ারী থানাধীন কাপ্তান বাজার-গুলিস্তানসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলুর নেতৃত্বে বিশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। একইভাবে রাজধানীর অন্যতম প্রবেশদ্বার ডেমরা থেকে একটি বিশাল মিছিল নিয়ে যাত্রাবাড়ী পার্কের সামনে অবস্থান নেন সজল। পরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মিছিল শেষে অবস্থান নেয় নেতারা।
গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কাউন্সিলরদের অবস্থান
১০ ডিসেম্বরের মতো শুক্রবারও বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি দলীয় সংসদ-সদস্য এবং সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলররাও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মাঠে অবস্থান নেন। তারা বলেছেন, বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রতিবারের মতো সকাল থেকেই মাঠে সতর্ক পাহারা দিয়েছি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক বলেন, “বিএনপি-জামায়াত কর্মসূচির নামে জনগণের জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি করবে আর আমরা চুপ করে বসে থাকব এটা হতে পারে না। এদিন তিনি মোহাম্মদবাগ ও মেরাজনগরসহ প্রতিটি মোড়ে তার কর্মী-সমর্থকরা সতর্ক পাহারায় ছিলেন। কর্মসূচির নামে বিএনপি-জামায়াত যাতে কোনো ধরনের নাশকতা চালাতে না পারে সেজন্য সাইনবোর্ড-স্টাফ কোয়াটারে সর্তক অবস্থায় মোটরসাইকেলে মহড়া দিয়েছেন ডিএসসিসির ৬৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহমুদুল হাসান পলিন। এ সময় তিনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নে কাজ করেন আর বিএনপি তা ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন।”
রাজপথ যুবলীগের নিয়ন্ত্রণে
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ঘোষণা দিয়ে রাজপথ নিয়ন্ত্রণে নেয় যুবলীগ। সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, “রাজপথ শুধু যুবলীগের দখলে থাকবে। আন্দোলন-সংগ্রামের নামে কেউ জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে, তাদের হাত ভেঙে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।”
এ সময় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান ছাড়াও কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শাহবাগে ‘সতর্ক পাহারায়’ ছাত্রলীগ
রাজধানীতে বিএনপিসহ কয়েকটি বিরোধী দল- জোটের গণমিছিলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সতর্ক পাহারা’ বসিয়েছে ছিল ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতারা বলছেন, দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন। সংগঠনটি এই পাহারাকে ‘গণতন্ত্রের বিজয় উদ্যাপন’ এবং ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য-দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি।
শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পরই শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজসহ বিভিন্ন শাখার নেতা-কর্মীরা। জাদুঘরের সামনে বসানো হয়েছে মাইক ও সাউন্ড সিস্টেম।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, “গণতন্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এই অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করার পাঁয়তারা করছে বিএনপি-জামায়াত। তাদের মোকাবিলা করার বিষয়টিকে ছাত্রসমাজ নৈতিক দায়বদ্ধতা বলে মনে করে। সেই জায়গা থেকে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখা, নিজেদের ভবিষ্যতকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে ছাত্রসমাজ অপশক্তিকে প্রতিরোধের জন্য সতর্ক অবস্থান নিয়েছে।”