মহাসমাবেশে পুলিশি বাধা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সারা দেশে তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। আগামী মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সড়ক, নৌ ও রেলপথে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
রোববার (২৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে দলটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকায় শনিবারের (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।”
অপরদিকে, অবরোধ কর্মসূচির বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থ পাচার ও সিন্ডিকেটবাজির ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনগণের জীবন জীবিকা রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়ি-বাড়ি তল্লাশি হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা আদায়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।”
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরে এই সংঘর্ষ অন্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা তিনটার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অন্তত ছয়টি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ান দলটির নেতাকর্মীরা। এই সংঘর্ষে পুলিশের সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজ ছাড়াও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হয়েছেন। তার নাম শামীম মিয়া। তিনি রাজধানীর মুগদা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
পরে রোববার সারা দেশে হরতাল পালন করে বিএনপি। এতে রাজধানীসহ দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় গাড়িতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।