• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
কোটাবিরোধী আন্দোলন

শাহবাগ ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়ে অবরোধ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
শাহবাগ ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড়ে অবরোধ
‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চম দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল ও কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পঞ্চম দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ও অবরোধ করেছেন। এতে ওই এলাকা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। অবরোধ চলছে চাঁনখারপুল এলাকায় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে ওঠা–নামার পথেও।

রোববার (৭ জুলাই) বেলা সোয় ৩টার দিকে এ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এই মোড় দিয়ে সব ধরনের যন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শাহবাগ অবরোধের কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে গিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। শিক্ষার্থীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ প্রভৃতি বলে স্লোগান দিচ্ছেন।

এদিকে একদল কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বিকেলে রাজধানীর চানখাঁরপুল মোড় অবরোধ করেছেন। এতে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে। সেখানেও তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। রাজধানীতে যান চলাচলের আরেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা সায়েন্স ল্যাব মোড়েও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলছে।

পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা আড়াইটার পর শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল ও বিভাগের ব্যানারে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে থাকেন। বেলা ৩টা ২০ মিনিটে মিছিল শুরু হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানাচ্ছেন। এগুলো হলো—২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

Link copied!