পালিয়ে ভারত যাওয়ার পথে আটক হয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা।
এর আগে শেখ হাসিনা দেশত্যাগের খবর প্রচারের পরপরই সোমবার (৫ আগস্ট) জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। সেসময় পলকের দেশ ত্যাগের খবর চাউর হন। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ না থাকায় তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগ-পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সারা দেশে সকল প্রকার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে রাখা হয় এক টানা ১৪ দিন। এসব বিষয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক একেকবার একেক ধরনের যুক্তি উপস্থাপন করেন। এতে সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ন হয়।
পলকের বক্তব্য অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ আইসিটি খাতে ক্ষতি হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। অথচ বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাব একত্রিত করলে এই ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। পাশাপাশি তিনি নিজেও শিক্ষার্থীদের কাছে নিজের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন। একইসময় গুজব প্রতিরোধে অপপ্রচার বন্ধে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেও জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। অথচ তিনি শপথ নেওয়ার সময় অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি দায়িত্বের অবহেলা করবেন না। রাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ করবেন না।