রাজধানীর গুলিস্তানের বাইতুল মোকাররম জামে মসজিদের কোল ঘেঁষা ফুটপাতে বসেছে ব্লেজারের দোকান। এখানে ব্লেজারের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের শীতের পোশাকও বিক্রি হচ্ছে। তবে ফুটপাথের এই মার্কেটে কদর বেশি ব্লেজারের। এখানে ৫০০ টাকায়-ই মিলছে ব্লেজার। আবার মান ভেদে হাজারের ওপরেও দাম হাঁকা হয়।
এখানকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এখানে ব্লেজারের মানে যেমন পার্থক্য রয়েছে, তেমনি রয়েছে দামের ভিন্নতা। দোকানগুলোতে বিক্রি হওয়া পুরোনো ব্লেজার আসে দেশের বাইরে থেকে। এগুলো আসে লট হিসেবে। সবচেয়ে বেশি লট আসে কোরিয়া থেকে। অন্যদিকে নতুন ব্লেজার দেশি কারখানা বা গার্মেন্টস থেকে আসে। তাই নতুন ব্লেজার পরিচিত বাংলা ব্লেজার নামে।
তবে পুরোনো কিংবা বাংলা ব্লেজার যেটাই হোক না কেন, এসব দোকানে কম দামে ব্লেজার বিক্রি হওয়ায় খুশি ক্রেতারা।
নতুন ব্লেজার বিক্রেতা সজীব বলেন, “গত বছরের মতো এবারের ব্যবসা ভালো নয়। রাজনৈতিক কারণে এবারের প্রোডাকশনও কম। তার ওপর ক্রেতাদের কথায় মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই এসে ৫০০ টাকা দাম বলছেন। তারা নাকি শুনে এসেছেন, নতুন ব্লেজারের দাম ৫০০ টাকা। কাস্টমার (ক্রেতা) বুঝতেই চান না নতুন আর পুরোনোর পার্থক্য। পুরোনোগুলোর দাম ১ হাজারের নিচে।”
ফয়সাল নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, “আমাদের নিজস্ব কারখানায় ব্লেজার প্রস্তুত করা হয়। তাই আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারি। তাছাড়া অন্যান্য দোকানের চেয়ে আমাদের খরচ কম। এখানে নতুন ব্লেজারের দাম ১ হাজার টাকা থেকে শুরু। নতুন দেখে বোঝার উপায় হচ্ছে, ব্লেজারের পকেট সেলাই করা থাকবে। আর পুরোনোগুলোর খোলা থাকবে।”
পুরোনো ব্লেজার বিক্রেতা জসিম বলেন, “এসব ব্লেজারের অধিকাংশই কোরিয়া থেকে লট হিসেবে আসে। লট ভেঙে পিস ধরে বিক্রি করতে হয়। ৫০০ টাকার নিচে ব্লেজার নেই।”
বাদশা নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, “পুরোনো ব্লেজারের দাম একটু কম। আর বাংলা ব্লেজারের দাম বেশি। এবারের ব্যবসা হচ্ছে না। শীত নাই তেমন তাই।”
ব্লেজার কিনতে আসা নিমাই মজুমদার বলেন, “এখানে কম দামে ব্লেজার পাওয়া যায় বলে এসেছি। নতুনের দাম একটু বেশি। তবে এক থেকে দেড় হাজারের মধ্যে নতুন ব্লেজার পাওয়া, বিষয়টি মন্দ নয়। আমার মনে হয় সব শ্রেণির মানুষই এখানে আসলে ভালো কিছু পেতে পারে। শুধু একটু বেছে নিতে হবে।”
আহসান ইসলাম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “কম দামে সবাই ভালো জিনিস কিনতে আসে। এখানে কম দামে পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।”