পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে বড় বিনিয়োগে যাচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীরা যাতে আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি না করে, সে বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছে শীর্ষ ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন সিইও ফোরাম।
রোববার (২১ জানুয়ারি) পুঁজিবাজারে বর্তমান অবস্থায় করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সিইও ফোরামের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সিইও ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছায়েদুর রহমান। দেশের ৩০টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের সিইও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ছায়েদুর রহমান বলেন, “আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আমরা সবাই ডিলার অ্যাকাউন্টে ১ থেকে ৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করব। ডিলার অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো শেয়ার বিক্রি করব না। বিনিয়োগকারীদের আমরা ইতিবাচকভাবে বুঝানোর চেষ্টা করব।”
ছায়েদুর রহমান আরও বলেন, “যেসব শেয়ারের ক্রেতা থাকবে না, সেখানে বিক্রির আদেশ বসানো হবে না। ট্রেডারদের এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হবে। বৈঠকে উপস্থিত সবাই একমত হয়েছেন যে, এই অবস্থায় পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার জন্য সবার জায়গা থেকে সহযোগিতা করবেন।”
ফ্লোর প্রাইস (শেয়ারের সর্বনিম্ন সীমা) আরোপের প্রায় দেড় বছর পর বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) এক আদেশে তা তুলে দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। ফলে রোববার থেকে ৩৫টি ছাড়া বাকি সব কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটগুলো ফ্লোর প্রাইস ছাড়াই লেনদেন শুরু করে।
লেনদেন শুরুর ৭ মিনিটের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স সূচক ২১৪ পয়েন্ট পড়ে অবস্থান নেয় ৬১২২ পয়েন্টে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পতনমুখী সূচকের ধারাবাহিকতা কমতে থাকে।