প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড মিলের নাম মনোনীত করেছেন বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে। এর আগে তিনি ঢাকায় ডেপুটি মিশন প্রধান ছিলেন।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ মে) প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলির নাম ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক মিলির মনোনয়ন এরই মধ্যে সিনেটে পাঠানো হয়েছে। সিনেটে শুনানির পর মিলিকে যোগ্য মনে হলে তবেই মনোনয়ন চূড়ান্ত করে রাষ্ট্রদূত করে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে। মিলি ঢাকায় রাষ্ট্রদূত হলে বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক মিলি বেইজিংয়ে দায়িত্ব পালনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ইকোনমিক ব্যুরোর ট্রেড পলিসি অ্যান্ড নেগোসিয়েশন বিভাগের উপ-সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নীতি ও বাস্তবায়ন বিভাগের পরিচালক ছিলেন তিনি।
মিনিস্টার কাউন্সেলর হিসেবে ১৯৯২ সালে ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। এরপর ওয়াশিংটনের ফরেইন সার্ভিস ইনস্টিটিউটের লিডারশিপ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট স্কুলের সহযোগী ডিন, ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন ডেভিড মিলি।
২০২১ সালের জুলাই থেকে এখানে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করা পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন কূটনীতিক মিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা এই কূটনীতিক বর্তমানে বেইজিংয়ে মার্কিন দূতাবাসে উপ-মিশন প্রধান হিসেবে কাজ করছেন।
বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ বলেছে, মিলের নাম অনুমোদনের জন্য সেনেটের কাছে পাঠানো হয়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ভোট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শলাপরার্শ ও আলোচনা-সমালোচনার সময় পিটার হাস অন্যতম প্রধান কূটনীতিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
নির্বাচন শেষের পাঁচ মাসের মধ্যে বাংলাদেশ বিষয়ে অভিজ্ঞ ডেভিড মিলকে ঢাকায় পাঠাচ্ছে ওয়াশিংটন।
অভিজ্ঞ কূটনীতিক মিল এর আগে ২০১৪ সালের আগস্ট থেকে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে উপ-মিশন প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।