দেশে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, “রপ্তানির অর্থ ফেরত না আসার দায় নিতে চায় না বিজিএমইএ। অর্থপাচার বন্ধে আমাদের ওই সব প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হোক যাদের ডলার আসে নাই। এরপর আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান জানান, এলডিসি থেকে উত্তরণের ছয় বছর পর্যন্ত মিলতে পারে রপ্তানির শুল্কমুক্ত সুবিধা।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ইপিবির হিসাবে, গত অর্থবছরে রপ্তানি হয় ৬৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য ও সেবা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, দেশে এসেছে ৫১ বিলিয়ন ডলার। পার্থক্য প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার।
ইপিবি, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের তথ্যে এমন গরমিল চলছে দীর্ঘদিন। এতে নানা কারণ উঠে এসেছে বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষণে।
উদ্যোক্তারা জানান, অভ্যন্তরীণ অনেক লেনদেনকে রপ্তানি হিসেবে দেখাচ্ছে এনবিআর। অনেক সময় ছাড় আদায় করেন ক্রেতারা। ঘটে প্রতারণার ঘটনাও।
আবার কিছু উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে রপ্তানির অর্থ দেশে ফেরত না আনার অভিযোগও আছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এসব বিষয় তুলে ধরেন বিজিএমইএ নেতারা।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠবে বাংলাদেশ। এরপর নিয়ম অনুযায়ী, রপ্তানিতে তিন বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। তবে ২০৩২ সাল পর্যন্ত এ সুবিধা পেতে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যে বর্ধিত মেয়াদে শুল্কমুক্ত সুবিধার আশ্বাস মিলেছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সবশেষ আলোচনায়ও মিলেছে ইতিবাচক সাড়া।
দীর্ঘ মেয়াদে শুল্কমুক্ত সুবিধা ও জিএসপি প্লাস পেতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে বলেও জানান বিজিএমইএ সভাপতি।