যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য রইস উদ্দিনের নিহতের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারত।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন।
সেহেলী সাবরীন বলেন, “গত ২৪ জানুয়ারি সীমান্তে বিজিবির সিপাহি রইস উদ্দিনের নিহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, সে লক্ষ্যে এক যোগে কাজ করবে বিজিবি-বিএসএফ।
আগামী ৭-৯ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ভারতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান সেহেলী সাবরীন। তিনি বলেন, “এ সফরে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হবে। সফরে বাংলাদেশের তিস্তা প্রকল্পে চীনের বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হবে কি না তা নিশ্চিত নয়। তবে ভারত এ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করলে সফরকালে এ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।”
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ জামিল চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২২ জানুয়ারি আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারিদের সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখে। পরে দায়িত্বরত বিজিবি টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
আহমেদ জামিল চৌধুরী জানান, এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহি রইস উদ্দিন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
ঘটনার দুই দিন পর গত ২৪ জানুয়ারি রইস উদ্দিনের মরদেহ ফেরত দেয় বিএসএফ। ওইদিন রাতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে তার জানাজা হয়। পরে শ্যামপুর-ভবানীপুর গোরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।