গেল নভেম্বরে সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বিজিবি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
শরীফুল ইসলাম বলেন, “দেশের বিভিন্ন সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০৯ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৪৯২ জন বাংলাদেশি ও ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২ হাজার ৫৯৭ জন মিয়ানমার নাগরিককে আটকের পর তাদের নিজ দেশে ফেরত দেওয়া হয়েছে।”
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, “সীমান্তে বিজিবির অভিযানে নভেম্বরে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ১৭২ কোটি ২ লাখ ৮ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে, ৮ কেজি ৫৭০ গ্রাম সোনা, ১৬ কেজি ৭৯৫ গ্রাম রুপা, ১৫ হাজার ৭০৩টি শাড়ি, ২২ হাজার ৮৪০টি থ্রি-পিস/শার্ট-পিস/চাদর/কম্বল, ১৪ হাজার ৪০৬টি তৈরি পোশাক, ২৯ হাজার ৫২৯ মিটার থান কাপড়, ২ লাখ ৯০ হাজার ৯০০টি কসমেটিকস সামগ্রী, ৭ হাজার ৬৬১টি ইমিটেশন সামগ্রী।
এসব পণ্যের মধ্যে আরও রয়েছে, ১৫ হাজার ৬৮৯ ঘনফুট কাঠ, ৬ হাজার ৮২৮ কেজি চা পাতা, ৪ লাখ ১৬ হাজার ৭২৭ কেজি চিনি, ৫ হাজার ৭১৩ কেজি সার, ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭০ কেজি কয়লা, ৭২০ ঘনফুট পাথর, ১০০০ ঘনফুট বালু, ৫৯৩টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৩৬ হাজার ২২৩টি চশমা, ৮ হাজার ৬২৩ কেজি বিভিন্ন ধরনের ফল, ৪৯ হাজার ৭৫৪ কেজি বাংলাদেশি রসুন, ২২ হাজার ৯১৬ কেজি জিরা, একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ১০টি ট্রাক, একটি বাস, সাতটি পিকআপ ভ্যান, ছয়টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস, সাতটি ট্রলি, ১৬২টি নৌকা, ৫০টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক, ৭৮টি মোটরসাইকেল, ১১টি ভ্যান ও ২৩টি বাইসাইকেল।
শরীফুল ইসলাম আরও বলেন, “৬টি পিস্তল, আটটি গান জাতীয় অস্ত্র, একটি রাইফেল, একটি রিভলভার, সাতটি ককটেল, চারটি ম্যাগাজিন এবং ৪২১ রাউন্ড গুলি। নভেম্বরে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬টি ইয়াবা, ১ কেজি ২৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৬ কেজি ৭৩৭ গ্রাম হেরোইন, ২৩ হাজার ৪৪৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৫ হাজার ৫৪৯ বোতল বিদেশি মদ, ৩৯৩ লিটার বাংলা মদ, ৮০৫ ক্যান বিয়ার, ১ হাজার ৩০৯ কেজি গাঁজা, ১ লাখ ২৫ হাজার ১১৪ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ১ লাখ ৫০ হাজার ৯২২টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩ হাজার ২৩৯ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ১৮ কেজি ৮৯৮ গ্রাম কোকেন, ৫৯০ বোতল এমকেডিল ও কফিডিল, ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৮ পিস বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ট্যাবলেট, ১৪ হাজার ৪৩৬ টি অ্যানগ্রো ও সেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ২৩ বোতল এলএসডি উদ্ধার করা হয়েছে।”