• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩০, ১২ রমজান ১৪৪৬

বেক্সিমকোতে রিসিভার থাকছে না, চলবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
বেক্সিমকোতে রিসিভার থাকছে না, চলবে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়
বেক্সিমকোর লোগো। ফাইল ফটো

বেক্সিমকো গ্রুপ অব কোম্পানিজের রিসিভার থাকছে না, এখন থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৪ মার্চ) এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ও আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও আইনজীবী আনিসুল হাসান। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, “গত ৫ আগস্ট পরবর্তী বাংলাদেশে একজন জনস্বার্থে রিটের প্রেক্ষিতে ৫ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সকল প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে বেক্সিমকো ফার্মা আপিলে যায়। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশটি মডিফাই করে শুধু ফার্মাকে নিজস্ব পরিচালনা করার অনুমতি দিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো রিসিভার নিয়োগ করেছিল। পরে হাইকোর্টে শুনানি শেষে বুধবার সেই রুলটি নিষ্পত্তি করেছেন।”

রুহুল কুদ্দুস আরও বলেন, “আদালত ৯টি পর্যবেক্ষণসহ রুলটি নিষ্পত্তি করেছেন। রুল নিষ্পত্তির কারণে সেই রিসিভারগুলো আর থাকল না। এই কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা তারা নিজেরা করবেন। তবে আদালত বলেছেন, এসব প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রেগুলেটরি বডির সুপারভিশন ও মনিটরিং আইন অনুযায়ী থাকবে।”

ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান বলেন, “আদালত বলেছেন, এ পর্যন্ত রিসিভার যা করেছে, সব কাজগুলো আইনগতভাবে বৈধ।”

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান এ বিষয়ে একটি রিট করেন। ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন।

আদেশে বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ছয় মাসের জন্য গ্রুপটির সকল সম্পত্তি সংযুক্ত (অ্যাটাচ) করতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি দেওয়া ওই আদেশে সালমান এফ রহমান থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থ উদ্ধার এবং বিদেশে থেকে টাকা ফেরাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

এ ছাড়া বেক্সিমকো গ্রুপের সব কোম্পানির তথ্য সরবরাহে, বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণ অপরিশোধিত ঋণ আছে, ঋণের বর্তমান অবস্থা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি দেখভাল করার জন্য রিসিভার নিয়োগে ও সম্পত্তি সংযুক্ত করতে রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করা হয়। আপিল বিভাগ গত ১২ নভেম্বর শুধু বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ক্ষেত্রে ‘রিসিভার’ নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেন। পাশাপাশি বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ-সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর রুলের ওপর হাইকোর্টে ২৭ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!