নগরে লেগেছে বাসন্তী হাওয়া। প্রকৃতিজুড়ে ঋতুরাজ বসন্তের ছটা। শিমুল, পলাশের রক্তিম আভা, ইটকাঠের এই শহরকে দিয়েছে নতুন প্রাণ। রঙে রঙে আর বাতাসে নতুন পাতার দোলে প্রকৃতিতে যেন নতুন বার্তা এসেছে। সুন্দরের এই আগমনে সাড়া দিয়েছে নগরবাসীও। আজ যে পয়লা বসন্ত।
রাজধানীর রমনা পার্ক। গাছের ফাঁক গলে সকালের নরম রোদের উঁকিঝুঁকি। পাতাঝরা গাছের শুকনো ডালে নতুন কুঁড়ির মাথা উঁচু করে থাকা আর গাছের কোলে পাখিদের কিচিরমিচির মনে করিয়ে দেয় আজ বসন্ত।
কোকিলের কুহুতান, শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি, গাছের বুকে স্বদর্পে কাঠবিড়ালির আপন ভুবনে বিচরণ ঋতুরাজকে দেয় অন্য মাত্রা। রং ছড়াতেই নগরে ফুটেছে চিরচেনা শিমুল আর পলাশ। ফুটেছে গ্লিরিসিডিয়া, মাধবীলতাসহ নানান ফুল। নগরবাসীর মাঝেও লেগেছে বাসন্তী আমেজ। বন্ধুত্ব আর ভালোবাসায় মাখামাখি প্রকৃতি আর মানবপ্রেম।
প্রথম বসন্তকে চিনিয়ে দিতে প্রকৃতির বুকে শিশুদের নিয়ে এসেছেন কেউ কেউ। একটুও যেন ক্লান্তি নেই কারও। সুন্দর স্মৃতিকে ফ্রেমে বন্দী করছেন নিজেদের।
নিসর্গবিদ মোকাররম হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ছয় ঋতুর এই দেশে নগরে বসন্ত উদযাপনে আয়োজন থাকলেও দিন দিন কমছে প্রকৃতির বৈচিত্র্য। নগরে বসন্তসহ ঋতুভিত্তিক আলাদা প্রকৃতির ছোঁয়া পাওয়ার সুযোগ কম। পরিকল্পিত নগরায়ন না হলে হারিয়ে যাবে প্রকৃতির স্বাভাবিক রূপ, যা নগরবাসীকে বঞ্চিত করবে ঋতু উপভোগে।”
ব্যস্ত এই নগরে সব ছাপিয়ে বসন্ত এনেছে প্রাণের সঞ্চার। ঝরা পাতার মতো অতীতকে পেছনে ফেলে নতুনকুঁড়ির মতো সবুজ সমারোহে জীবনকে সাজানোর প্রতিশ্রুতি নগরবাসীর।