জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাসহ তাদের পরিবারের সব সদস্যদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে।
আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সব ব্যাংকে এ চিঠি দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) একটি বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শেখ হাসিনার পাশাপাশি তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন (পুতুল) ও ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদের (জয়) ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি), দুই মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকের হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা কোনো ধরনের আর্থিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে এই সাতজনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে একজন কনিষ্ঠ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিককে একটি ফ্ল্যাট দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামের একজন আবাসন ব্যবসায়ী। তবে টিউলিপ সিদ্দিককে ওই ফ্ল্যাটের বিনিময়ে কোনো অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ওই ব্যবসায়ীর। বিনা মূল্যে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের তথ্য পাওয়া গেছে যুক্তরাজ্যের ভূমি নিবন্ধনসংক্রান্ত নথিপত্রে।
এ ছাড়া সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, টিউলিপ সিদ্দিক উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড এলাকায় এমন একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন, যেটি তার পরিবারকে দিয়েছেন তার খালা শেখ হাসিনার এক মিত্র। হ্যাম্পস্টেডের ফিঞ্চলে রোডের এই ফ্ল্যাট টিউলিপের বোন আজমিনাকে বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে টিউলিপ সিদ্দিক নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা (ইন্ডিপেনডেন্ট অ্যাডভাইজার অব মিনিস্ট্রিয়াল স্ট্যান্ডার্ডস) লাউরি ম্যাগনাসের কাছে চিঠি লিখেছেন।