• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বাংলাদেশের স্বাক্ষর


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৯, ২০২৪, ১২:৩৮ পিএম
গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনে বাংলাদেশের স্বাক্ষর

গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানালেও এই মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ন্যায়বিচার পাননি। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে যুক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পার্সনস ফ্রম ফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স সনদে স্বাক্ষর করেন।

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের একদিন আগে এই সনদে স্বাক্ষর করল বাংলাদেশ।

প্রধান উপদেষ্টার স্বাক্ষরিত ওই সনদে বলা হয়, ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে গৃহীত হয়েছিল বলপ্রয়োগকৃত নিখোঁজ থেকে সকল ব্যক্তির সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক কনভেনশন।  তাই আমি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করছি যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এই কনভেনশনটি বিবেচনা করে, এতে সম্মত হয়েছ। এবং এর মধ্যে থাকা শর্তাবলি পালন ও পালন করার জন্য বিশ্বস্ততার সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ।

সাক্ষ্য হিসেবে, আমি ২৯ আগস্ট, ২০২৪-এ  বাংলাদেশে যোগদানের এই সনদে স্বাক্ষর করেছি।

পরে ড. ইউনূস বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। 

গত ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমের প্রতিটি ঘটনা তদন্তের জন্য গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) একটি কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

কমিশনে আরো রয়েছেন  অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, সাজ্জাদ হোসেন ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস।

কমিটিকে আগামী ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। ৩২টি দেশ এটি অনুস্বাক্ষর করার পর ২০১০ সালে এ সনদের বাস্তবায়ন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৭৫টি দেশ এ সনদে যুক্ত হয়েছে।

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের লক্ষ্য হলো- গুম বন্ধের পাশাপাশি এ অপরাধের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা দেওয়া।

Link copied!