বছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ভারতের পরই বাংলাদেশ সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির ঢাকা অফিসে ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংক জানায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে ভারত। এরপরই জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দেশ হবে বাংলাদেশ। অর্থবছর শেষে বাংলাদেশ ৫.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। এরপর ভুটান ৪.৯ শতাংশ, মালদ্বীপ ৪.৭ শতাংশ, নেপাল ৩.৩ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ২.২ শতাংশ এবং পাকিস্তান ১.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।
তবে দক্ষিণ এশিয়ায় সামগ্রিকভাবে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বলেও জানায় সংস্থাটি।
দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফ্রানজিস্কা ওনসর্গ এই প্রতিবেদনে জানান, ‘দক্ষিণ এশিয়া তার জনশক্তিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে। যেটি একটি হাতছাড়া সুযোগের মতো। যদি এই অঞ্চলটি অন্যান্য উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির মতো কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যার একটি বড় অংশ নিযুক্ত করে, তবে এর আউটপুট ১৬ শতাংশের বেশি হতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইসার জানান, দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা স্বল্পমেয়াদে উজ্জ্বল থাকবে। কিন্তু ভঙ্গুর আর্থিক অবস্থান এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু ধাক্কায় কালো মেঘ থাকবে। এজন্য প্রবৃদ্ধি আরও বাড়াতে এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধি জোরদার করতে।
তিনি জানান, এই অঞ্চলের দেশগুলোকে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য নীতি গ্রহণ করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার, কর্মক্ষম বয়সের জনসংখ্যা বৃদ্ধি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের অঞ্চলের তুলনায় বেশি। ২০০০ সাল থেকে কর্মরত কর্মজীবী জনসংখ্যার অংশ হ্রাস পাচ্ছে। অন্যান্য উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতি অঞ্চলে ৭০ শতাংশের তুলনায় ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় কর্মসংস্থানের অনুপাত ছিল ৫৯ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়াই একমাত্র অঞ্চল যেখানে কর্মরত বয়সী পুরুষদের হার গত দুই দশকে কমেছে এবং এই অঞ্চলে সবচেয়ে কম কর্মজীবী নারী রয়েছে।