• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩০, ৫ রজব ১৪৪৬

ভারতে হিন্দু নারীকে মারধরের ঘটনা বাংলাদেশের বলে ‘অপপ্রচার’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
ভারতে হিন্দু নারীকে মারধরের ঘটনা বাংলাদেশের বলে ‘অপপ্রচার’
বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার। ছবি : সংগৃহীত

এক হিন্দু নারীকে মারধরের যে দৃশ্য বাংলাদেশের ঘটনা বলে দাবি করা হচ্ছে, সেটি আসলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের। ভিডিওর নারী বাংলাদেশি নন বরং তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের বাসিন্দা। অনুসন্ধান শেষে এমনটিই জানিয়েছে রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানারের তথ্যমতে, প্রকৃতপক্ষে, প্রেমের সম্পর্কের জেরে এক মুসলিম নারীকে নিয়ে পালিয়ে যান ওই নারীর ছেলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এই পরিবারের লোকজন ছেলেটির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ছেলের মাকে আহত করেন। তারই দৃশ্য এটি।

প্রচারিত ছবিটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ভিডিওর ক্রেডিট দেওয়া হয়েছে Avroneel Hindu (অভ্রনীল হিন্দু) নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্টকে।

ওই অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত মূল পোস্ট থেকে জানা যায়, ভারতের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার অধীনে শ্যামসুন্দর গ্রামে স্থানীয়রা এক হিন্দু ছেলের বাড়িতে আক্রমণ চালায়। কারণ ছেলেটি একজন মুসলিম নারীকে বিয়ে করেছে। হামলাকারীরা ছেলেটির বাড়ি ভাঙচুর করে এবং ছেলেটির মাকে আহত করে।

পরবর্তী অনুসন্ধানে গত ২২ ডিসেম্বর বাংলার কথা নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ‘অবৈধ সম্পর্কের জেরে মার খেতে হলো ছেলের মাকে’ শীর্ষক একটি ভিডিও প্রতিবেদন পাওয়া যায়।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আহত নারীর নাম শঙ্করী ভুঁইয়া। মূলত তার ছেলে শুভঙ্কর ভূঁইয়ার সঙ্গে ফিরোজা খাতুন নামের মুসলিম এক নারীর চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ছয় মাস আগে ফিরোজা খাতুনের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরও তাদের প্রেমের সম্পর্ক বজায় থাকে। মাস খানেক আগে তারা পালিয়ে যায়। মেয়ের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় মেয়ের পরিবার ছেলের বাড়িতে হামলা চালায়। অর্থাৎ, হামলায় আহত নারীটি বাংলাদেশি নন।

সুতরাং, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নারীকে মারধরের ঘটনাকে বাংলাদেশের ঘটনা দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

Link copied!