বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। এই তথ্য উল্লেখ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী জাপান বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে এ শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আগামী মাস থেকে চালু হতে যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দেশ। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে কাঙ্ক্ষিত মানে বিকশিত করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী মহা-পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প নতুন যুগে প্রবেশ করবে।”
এ সময় প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে জাপানকে বিনিয়োগের আহ্বানও জানান।
প্রতিমন্ত্রীর কথার জবাবে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, “আগামী অক্টোবরে জাইকার অর্থায়নে নির্মিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং হতে যাচ্ছে জেনে জাপান আনন্দিত।”
এছাড়াও, সাক্ষাৎকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পর্যটন মহা-পরিকল্পনা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এভিয়েশন সেক্টরে চলমান উন্নয়ন সহায়তার পাশাপাশি ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নেও জাপান সহযোগিতা করবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।