গণতন্ত্র আছে বলেই উন্নয়নের মুখ দেখছে বাংলাদেশ, এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “কোথাও প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে না, কি অপরাধ আওয়ামী লীগের কি অপরাধ গণতন্ত্রের।”
শনিবার (১২ আগস্ট) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “পৃথিবীর কোনো দেশেই ওয়াশিংটন হস্তক্ষেপ করতে পারে না শুধুমাত্র বাংলাদেশেই চুন থেকে পান খসলেই ভিসা নীতির কথা বলে। বিএনপি এটার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে। দেশের উন্নয়নে তারা প্রশংসা করতে পারে না। সকল ক্ষমতার মালিক আল্লাহ, সেখানে বিএনপি কিভাবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে নামাবে।”
আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কাজ দেখে বিএনপির অন্তরর্জালা শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “পরাজয়ের ভয়ে বিএনপির এক দফা খাদে পড়ে মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের সংখ্যা কমে গেছে, তাদের মিছিল সমাবেশে দৈর্ঘ্য বেড়েছে প্রস্থ কমেছে। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে প্রতিপক্ষভাবে আর তারা আওয়ামী লীগকে শত্রুভাবে। সেটার যাত্রা শুরু করেছিলো তারা ২১ আগস্ট, ১৫ই আগস্ট। একুশে আগস্টসহ সকল হত্যাকাণ্ড এবং ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড জিয়া পরিবার সদস্যরা। বিএনপি জানে নির্বাচনে তাদের কি দশা হবে। এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে এদেশের ৭০%ভাগ ভোট শেখ হাসিনাকে দিবে।”
যেকোনো সংকট কিংবা সমস্যায় শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখাতে সারাদেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। খালেদা জিয়ার জন্ম বার্ষিকী নিয়ে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন “১৫ই আগস্ট কিভাবে তার জন্মদিন হয়। একজন মানুষের জন্মবার্ষিকী কয় বার হয়।”
কাদের বলেন, “আসলে সংবিধানের কাটাছেঁড়া বা সংশোধনী করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি, শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ বিএনপির কোনো দাবি মেনে নেয়া হবে না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। মন চাইলে নির্বাচনে আসবেন, না হয় যা মন চায় তা করেন।”