বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে (জিটিআই) দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। ১৬৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৩তম। বাংলাদেশ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের প্রভাবের দিক থেকে অগ্রগতি অর্জনকারী দ্বিতীয় দেশ।
জিটিআই সূচকে ৩ দশমিক ৮২৭ স্কোর পেয়েছে বাংলাদেশ। স্কোরের জন্য গণনায় পাঁচ বছরের সময় ধরে সন্ত্রাসের কারণে মৃত্যু, অন্যান্য ঘটনা, জিম্মি ঘটনা ও আহতদের বিবেচনা করা হয়েছে।
জিটিআই প্রতিটি দেশকে শূন্য থেকে ১০ পর্যন্ত স্কেলে স্কোর করে, যেখানে শূন্য সন্ত্রাসবাদের ওপর কোনো প্রভাব প্রকাশ করে না ও ১০ সন্ত্রাসবাদের সর্বোচ্চ পরিমাপযোগ্য প্রভাব প্রতিফলিত করে। কম স্কোরসহ একটি উচ্চ স্তর সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে কম প্রভাব নির্দেশ করে।
৮ দশমিক ৮২২ স্কোর নিয়ে এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আফগানিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ৮ দশমিক ১৬, ভারত ৭ দশমিক ১৭৩ ও নেপাল ৪ দশমিক১৩৪ স্কোর পেয়েছে।
জিটিআই রিপোর্টটি ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস (আইইপি) দ্বারা সন্ত্রাস ট্র্যাকার এবং অন্যান্য উৎস থেকে ডেটা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। টেররিজম ট্র্যাকার ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাগুলোর রেকর্ড সরবরাহ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের প্রভাবের দিক থেকে নেপালের পরেই বাংলাদেশ দ্বিতীয় অগ্রগতি অর্জনকারী দেশ। উভয় দেশই ২০২২ সালে দুটি হামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে এবং কোনো মৃত্যু হয়নি।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি জিটিআই স্কোর অর্জনকারী ১০টি দেশের মধ্যে দুটি হচ্ছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। এ অঞ্চলের সাতটি দেশের মধ্যে শুধু ভুটানের জিটিআই স্কোর শূন্য, অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে কোনো সন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়নি।
আফগানিস্তান তালিকার শীর্ষে থাকলেও দেশটি উন্নতি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে সন্ত্রাসবাদের কারণে মৃত্যু ৫৮ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানে হামলার সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। এ সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৯ থেকে ৬৩৩ পর্যন্ত নেমে এসেছে। সূত্র: বাসস