জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত এক রেজুলেশনে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোট দানে বিরত ছিল বাংলাদেশ। ভোটদানে বাংলাদেশ কেন বিরত ছিল তা জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলি সাবরিন বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
এতে বলা হয়, রেজুলেশনে সংকট সমাধানের জন্য কূটনীতিক যোগাযোগ ও সংলাপের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উল্লেখ না থাকার কারণে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ।
এর আগে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোটদানে বিরত থাকার কারণে এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রাশিয়ান দূতাবাস।
বিবৃতিতে সেহেলি সাবরিন বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, বর্তমান সংকটের যেকোনো অর্থবহ ও টেকসই সমাধানের জন্য এর সঙ্গে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে দৃঢ় কূটনৈতিক যোগাযোগ ও সংলাপের প্রয়োজন। আমাদের বিবেচনা অনুযায়ী, এই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টটি রেজুলেশনে উল্লেখ করা হয়নি। সে কারণে আমরা ভোটদানে বিরত থাকতে বাধ্য হয়েছি।”
গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘ইউএন চার্টার প্রিন্সিপ্যাল আনাডারলাইয়িং এ কমপ্রিহেন্সিভ, জাস্ট অ্যান্ড লাস্টিং পিস ইন ইউক্রেন’ শীর্ষক রেজুলেশনটি গ্রহণ করা হয়। এর পক্ষে ভোট পড়ে ১৪১টি, বিপক্ষে ৭টি এবং ভোটদানে বিরত ছিল ৩২টি দেশ।
দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা ভোট দানে বিরত থাকে। অপরদিকে নেপাল, ভূটান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপ পক্ষে ভোট দেয়।
১০ সদস্য বিশিষ্ট আসিয়ানের ৮টি দেশ পক্ষে ভোট দেয়। ভিয়েতনাম ও লাউ পিডিআর ভোট দানে বিরত ছিল। একইসঙ্গে চীনও ভোট দানে বিরত থাকে।
রেজুলেশনের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে— বেলারুশ, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, মালি, ইরিত্রিয়া এবং রাশিয়া।
এর আগে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আনা পাঁচটি রেজুলেশনের মধ্যে দুটিতে পক্ষে ভোট দেয় বাংলাদেশ এবং তিনটিতে ভোট দানে বিরত থাকে।