মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ নিয়ে ডাচ সংস্থা রেড অরেঞ্জের সঙ্গে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল এবং রেড অরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশনসের রুটগার জান শোয়েন তাদের পক্ষে নথিতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং নেদারল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এম. রিয়াজ হামিদুল্লাহ উপস্থিতি ছিলেন।
সমঝোতা স্মারক অনুসারে, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষ প্রকল্পের অধীনে ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক একটি বিশেষ প্রকল্পের অধীনে রেড অরেঞ্জ উচ্চমানের তথ্য সংগ্রহ করবে। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের ফুটেজ এবং বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে নিয়মতান্ত্রিক নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর জীবনকালের সংগ্রাম। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ডকুমেন্টারি এবং অডিও-ভিজ্যুয়াল সামগ্রীর অবাণিজ্যিক নির্মাণের জন্য ফুটেজ ব্যবহার করবে।
অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, “সারা বিশ্ব থেকে মহামূল্যবান ফুটেজ সংগ্রহ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে। ১৯৭৫ সালের পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। কিন্তু তারা জানতো না যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসও বিশ্বের বিভিন্ন আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। রেড অরেঞ্জ তার মধ্যে অন্যতম। তাই এই সহযোগিতা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে রক্ষা করতে সক্ষম হবে।”
রুটগার জান শোয়েন বলেন, “এই সমঝোতার মাধ্যমে রেড অরেঞ্জ বিএফএকে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত আর্কাইভ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহে সহায়তা করবে। আমরা বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের ড. মো. মোফাকখারুল ইকবাল এবং তার দলের প্রতি কৃতজ্ঞ যে, আমাদের এখন পর্যন্ত করা সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটিতে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এই উদ্যোগের অংশ হয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশের জনগণকে সম্মান জানানোর গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টায় অবদান রাখব।”