নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক থেকে টাকা নগদ টাকা উত্তোলনের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আসছে সপ্তাহ থেকে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে বলে ব্যাংকগুলোকে বার্তা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডিদের এক জরুরি বার্তায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একাধিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন গ্রাহক ৫ লাখের বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করতে না পারলেও যেকোনো পরিমাণ টাকা আরেক হিসাবে স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারবেন।
জানা গেছে, সরকার পরিবর্তনের পর নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থি রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পরিবার থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের চাপ দেখা যায়। এসব অর্থ যাতে কোনোভাবেই সন্ত্রাসী বা অবৈধ কাজে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য নগদ টাকা উত্তোলন কিছুটা নিরুৎসাহিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত সপ্তাহে নগদ তোলার সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগদ উত্তোলনের সুযোগে আরও ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে নতুন সীমা ঠিক করে দিল আর্থিক খাতের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থাটি।
এর আগে আগে ১৭ আগস্ট অ্যাকাউন্ট থেকে উত্তোলনের সীমা ৩ লাখ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তারও আগে গত ১০ আগস্ট বলা হয় অ্যাকাউন্ট থেকে দুই লাখ টাকার বেশি নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে না। তারও আগে ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার এক লাখ টাকার বেশি নগদ উত্তোলন করতে পারেনি গ্রাহক।
ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক লুটপাট, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থবৈভবের মালিকরা যেন টাকা পাচার করতে না পারে এ জন্য সতর্ক করতে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।