কয়েক দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যাংক খাত। সে সময় ইন্টারনেটনির্ভর সব সেবাই বন্ধ হয়ে ছিল। যার প্রভাব পড়েছে রপ্তানি ও প্রবাস আয়ে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর আন্তঃব্যাংকিং কার্যক্রম সচল রাখতে আলাদা নেটওয়ার্কিং অ্যাপ চালু করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশের (এবিবি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ কথা জানায়।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা একটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গণমাধ্যমকে বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে তারা একটা নেটওয়ার্ক ডেভলপ করবে, যার মাধ্যমে ইন্টারনেট না থাকলে ব্যাংকিং সার্ভিস সচল থাকবে। ওই নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে আমাদের হেড অফিসের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যোগাযোগ থাকবে। আমরা একইসঙ্গে এই নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সারা দেশের ব্রাঞ্চগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারব।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, ইন্টারনেট না থাকলেও ব্যাংকগুলোর এটিএম ব্যবস্থা সচল থাকবে। তবে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশের (এনপিএসবি) মাধ্যমে এমএফএস লেনদেন করা যায় না। এই নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট ছাড়াও লেনদেন করা যাবে।`
গত ১৮ থেকে ২৩ জুলাই ইন্টারনেট ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ব্যাংকের প্রায় সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এতে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় আসাও কমে যায়। এ জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর পরামর্শে বিকল্প নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইটি বিভাগ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাচ্ছে যেকোনো সংকটের মুহূর্তে ইন্টারনেট না থাকলেও ব্যাংকিং সেবা যেন সচল থাকে। ব্যাংকগুলো আন্তঃনেটওয়ার্কের মাধ্যমে শাখাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, “দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে সামলাব। সব ধরনের গুজব থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”