• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩০, ২৪ রজব ১৪৪৬

নভোথিয়েটার থেকে বাদ যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু’র নাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৫, ০২:৫০ পিএম
নভোথিয়েটার থেকে বাদ যাচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু’র নাম

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইন ২০১০’ থেকে বঙ্গবন্ধু ও শেখ মুজিবুর রহমান বাদ দিয়ে আইনের নাম সংশোধনীর আরেকটি প্রস্তাবও তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট আইন ২০১৬’ থেকে বঙ্গবন্ধু শব্দটি বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একটি সংশোধনী প্রস্তাবের খসড়া তৈরি করেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু বর্তমানে সংসদ নেই, তাই রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এই আইন দু’টির সংশোধনী করা যেতে পারে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মনে করে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিদ্যমান আইনের আওতায় গঠিত ট্রাস্টের নামের ক্ষেত্রে ব্যক্তির নাম বিলুপ্ত করা হলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর গ্রহণযোগ্যতা এবং মর্যাদা বাড়বে। তাই বিদ্যমান আইন দু’টির যেসব জায়গায় ব্যক্তির নাম ও উপাধি ব্যবহার করা হয়েছে সেসব স্থান থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি ও ‘শেখ মুজিবুর রহমান’র নাম বিলুপ্তের প্রস্তাব করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশের মানুষ, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা এবং বিনোদনের মাধ্যমে মহাকাশের গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি প্রকল্পের আওতায় রাজধানীর বিজয় সরণিতে এই নভোথিয়েটার স্থাপন করে সরকার। পরে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার আইনের মাধ্যমে এর নতুন নামকরণ করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার’।

এর আগে বিএনপি জোট সরকারের সময়ে ২০০৪ সাল এটি ভাসানী নভোথিয়েটার নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ ছাড়া, গত সরকার আমলে বাংলাদেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে দেশে-বিদেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ট্রাস্ট নামে আইনের আওতায় একটি ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছিল।

এই আইনের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে বিভিন্ন বিষয়ে দেশে-বিদেশে এমএস বা সমতুল্য ডিগ্রি, পিএইচডি, পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা বা অধ্যয়নের জন্য ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে ফেলোশিপ প্রদান, বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষায়িত যোগ্যতাসম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক ও একাডেমিশিয়ান তৈরির লক্ষ্যে এমএস বা সমতুল্য ডিগ্রি, পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল পর্যায়ে গবেষণা কার্যক্রমে সহায়তা প্রদান, দেশে ও বিদেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমএস, পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে গবেষকদের গবেষণা ও উন্নয়ন বিষয়ে অধিকতর দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা, দেশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহায়ক কার্যক্রম পরিচালনা করাসহ প্রশিক্ষিত বিজ্ঞানীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে এই আইন তৈরি করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, “সরকারের নির্দেশে বিদ্যমান আইন দু’টি থেকে নাম ও উপাধি বিলুপ্ত করে আইনের প্রস্তাবিত খসড়া সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।”

সূত্র : সারাবাংলা

Link copied!