বিজয় দিবসে ‘অন্যরকম অনুভূতি’ জানিয়ে আজহারীর প্রশ্ন কেনো


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম
বিজয় দিবসে ‘অন্যরকম অনুভূতি’ জানিয়ে আজহারীর প্রশ্ন কেনো
মিজানুর রহমান আজহারী। ফাইল ফটো

এবারের বিজয় দিবসকে ‘অন্যরকম’ উল্লেখ করে নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের আলেম ও জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মিজানুর রহমান আজহারী।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ অনুভূতি প্রকাশ করেন আজহারি।

পোস্টে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, “এবারের বিজয়-দিবসটি অন্যরকম। সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি। কারণ, জুলাই বিপ্লবের স্মৃতি যে এখনো তাজা। স্বাধীনতা ২.০-এর স্বাদ নিয়ে আমরা উদ্যাপন করছি এবারের বিজয়ের দিনটি। কিন্তু আজকের এই দিনে দাঁড়িয়ে আমি খুব করে ভাবতে চাই, জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের ত্যাগের যথাযথ মূল্য কি আমরা দিতে পারছি?”

দেশের জনপ্রিয় এই ইসলামিক স্কলার বলেন, “একাত্তরে আমরা লড়াই করেছিলাম জালিম-রেজিমের বিরুদ্ধে, অন্যায় আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু বছর না-ঘুরতেই আমাদের সেই বিজয় লুট হয়ে যায়। দেশ চলে যায় পুঁজিপতিদের পকেটে, কালচারাল এলিটদের দখলে। যার ফলাফল, ৭৪-এর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ। যার ফলাফল, নিজ দেশে থেকেও আমরা কোণঠাসা। এই কালচারাল এলিটরা বিগত ৫০ বছরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নিজেদের খায়েশমতো ফ্রেইমিং করেছে। মুক্তিযুদ্ধে যেখানে অংশই নিয়েছে এদেশের আপামর মুসলিম জনতা, সেখানে মুসলিমদেরই বানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রতিপক্ষ। দাড়ি-টুপিকে বানিয়েছে রাজাকারের প্রতীক। কালচারাল এলিটদের এই তীব্র মেরুকরণের ফলাফল আজকের বৈষম্য আর ফ্যাসিজম।”

তাই বিজয়ের দিনে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতার প্রতীক ছিল মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ। তাদের হৃদয়ে ছিল শহিদি আকাঙ্ক্ষা। মজলুম, শহীদ, আল্লাহর সাহায্য, এসব পরিভাষাই সেদিন আন্দোলনকে ট্রিগার করেছিল। মানুষকে চুম্বকের মতো টেনে এনেছিল রাজপথে। একাত্তরও এর ব্যতিক্রম কিছু ছিল না বলেও উল্লেখ করেন মিজানুর রহমান আজহারী।

মিজানুর রহমান আজহারী আরও বলেন, “বিজয়ের এই দিনটা উদ্যাপনের। একইভাবে ভবিষ্যত-কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করবার। আমরা এমন একটা বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। এমন একটা বাংলাদেশ, যেখানে কারও ধর্মীয় মূল্যবোধকে দমন করতে, কোনো ‘জঙ্গি’ নাটক সাজানো হবে না। এমন এক বাংলাদেশ, যেখানে রাজনৈতিক সুবিধা হাসিলের উদ্দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ছক আঁকা হবে না। যেখানে নিশ্চিত হবে সকল বিশ্বাসের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। আগামীর বাংলাদেশ হবে জনতার বাংলাদেশ।”

পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন।

Link copied!