আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসে না মন্তব্য করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের পথে রাষ্ট্র ক্ষমতা বদলের চিন্তা করে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “নির্বাচনে আমরা সব সময় গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি। লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি। জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি।”
নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। এটিকে স্বাধীন করেছেন শেখ হাসিনা। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তিনি নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছেন। গতকাল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, “আমরা একা ক্ষমতায় যেতে চাই না। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চাই। নির্বাচন সংবিধানের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেই নিয়মমাফিক নির্বাচনের তারিখ দেওয়া হয়েছে।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা আশাবাদী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করতে সক্ষম হবে। আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন কমিশনকে সব রকম সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি। গণতন্ত্রকে অনুসরণ করেই জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আমরা লড়াই-সংগ্রাম করেছি।”
শেখ হাসিনাকে গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের নামে স্বৈরশাসন শুরু করেছিল। আমাদের গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল। ২১ বছর আমরা গণতন্ত্রের দেখা পাইনি। আমাদের বারবার ষড়যন্ত্রের স্বীকার হতে হয়েছে। এরপরও আমরা লড়াই করে করে টিকে আছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ছয় বছর পর শেখ হাসিনা দেশে এসেছিলেন। এই দেশের গণতন্ত্রের জন্য তিনি সবচেয়ে বেশি সংগ্রাম করেছেন। শেখ হাসিনা আপসহীনভাবে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছেন।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, “নির্বাচন কমিশন তার অর্পিতের দায়িত্ব ক্ষমতাবলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। আমরা গতকালকে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছি, ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা আশা করি, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে একটা মিনিংফুল নির্বাচন করতে সক্ষম হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।