রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ১০০ কোটি টাকার বেশি ব্যাংক স্থিতি রয়েছে। গত বছর দলটির আয় যেমন বেড়েছে, তেমনি ব্যয়ও বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সচিব শফিউল আজিমের কাছে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল। পরে দলের কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান সাংবাদিকের বিস্তারিত জানান।
আয়-ব্যয় বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আগের বছরের তুলনায় যা ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ২৩২ টাকা বেশি। একই বছর দলটির ব্যয় বেড়েছে ২ কোটি ৫১ হাজার ৪২১ টাকা।
কোশাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান বলেন, “বিধি মোতাবেক প্রতি বছর হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। এই বিবরণী ৩০ জুনের মধ্যে দিতে হয়। আমরা দুদিন আগেই দিলাম।”
আশিকুর রহমানের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের ব্যাংকে ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জমা ছিল। গত বছর আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। মাসিক চাঁদা, সদস্যরা চাঁদা দেন-যার পরিমাণ ১ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অনুদান প্রাপ্তি (মেঘনা ব্যাংক পিএলসি) ১ কোটি ১ লাখ টাকা। নমিনেশন ফরম বিক্রয় (৩৩৬৫ জন) ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ফরম বিক্রয় (অন্যান্য) ২ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ভাড়া (২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ) ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অন্যান্য (উত্তরণ, বিদ্যুৎ বিল) ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। যার মাধ্যমে দলটি ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে।
দলের ব্যয় নিয়ে আশিকুর রহমান বলেন, “ব্যয় হচ্ছে বেতন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নানারকম খরচ। পোস্টার ছাপানো, মানুষকে অনুদান, সাহায্য সহযোগিতা যা আমরা করে থাকি। বছরের শুরুতে যে জমা টাকা আছে পাশাপাশি এ বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা, এ দুটো যোগ করলে ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা হয়।”
গত ৬ মাসে আয় বেড়েছে জানিয়ে দলটির কোষাধ্যক্ষ বলেন, “এখন আমরা ১০০ কোটি ক্রস করে গেছি। অন্য দলের খরচ যদি হয় ১০ টাকা, আমাদের খরচ হয় দুই টাকা। কর্মীরা পকেট থেকে খরচ করেন। কারণ আমরা ত্যাগ ও আদর্শের রাজনীতি করি।”