জাতীয় দিবস হিসেবে ৫ আগস্টকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের জন্য এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। প্রতিবছর ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে। এরই মধ্যে বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি।
জানা গেছে, চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হতে পারে। উপদেষ্টা পরিষদের সম্মতি আসলে ২০২৫ সাল থেকেই প্রথমবারের মতো সারা দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা হবে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’।
যদিও দেশে প্রতিবছর ২৪ জানুয়ারিকে উনসত্তরের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থান দিবস হিসেবে জাতীয়ভাবে পালন করা হয়। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ সম্পর্কে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম (বীরপ্রতীক) বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’সহ ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠনের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এটি চূড়ান্ত হলে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে দেশবাসীকে জানাব ইনশা আল্লাহ।’
এ বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস’-এ অধিদপ্তর গঠনের অনুমতি ছিল না। সেটি সংশোধন করে অধিদপ্তর গঠনের বিষয়ে সায় দিয়েছে সচিব কমিটি। সেখানে ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপনের বিষয়টি রয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী ৫ আগস্ট সারা দেশে প্রথমবারের মতো জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন করবে দেশবাসী।’