বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সময় রাজধানীর পল্লবীতে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মহিলা আওয়ামী লীগের পাঁচ নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- পল্লবী থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মোছা. বাবলী বেগম (৪৩), ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা ইয়াসমিন যুথি (৩৮), ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মোছা. রিতা আক্তার (৪০), ওয়ার্ডের সহসভাপতি নাজমা আক্তার সাথী (৩০) ও ওয়ার্ডের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোছা. খাদিজা বেগম (৩৪)।
ডিসি তালেবুর রহমান বলেন, গত ৪ আগস্ট বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর-১০ পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন মো. আবিদ নামের একজন। আন্দোলনে দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলসহ অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আবিদ ডান চোখে গুলি লেগে গুরুতর আহত হয়।
পরবর্তীতে তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আহত আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
তদন্তাধীন এ মামলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আন্দোলনে হামলার ঘটনায় জড়িত বাবলী বেগম, সাবিনা ইয়াসমিন যুথি, রিতা আক্তার, নাজমা আক্তার সাথী ও খাদিজা বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়।