রাজধানীর মিরপুরে সোমবার (১৪ এপ্রিল) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস আই টুটুল ও তার সহযোগীরা এই হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে এনসিপি।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার মিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এনসিপির মিরপুর অঞ্চলের নেতা-কর্মীরা। বিকেল ৫টার দিকে মিরপুরের স্বাধীনতা চত্বরে (মিরপুর ১০) এই বিক্ষোভ মিছিল হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি জানায়, সোমবারের হামলায় দলের প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ও শামীম আহমেদ গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা দুজন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া হামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিন আহমেদসহ আরও ৬ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবারের বিক্ষোভ মিছিলে এনসিপির মিরপুরের বিভিন্ন থানার প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বিকেল ৫টায় মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে নেতা-কর্মীরা জড়ো হয়ে স্লোগান ও বক্তব্য দেন। বক্তব্যে নেতা–কর্মীরা সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলের বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম (আদীব) বলেন, ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে রাজনীতিতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও দখলদারির কবর রচনা করতে হবে। রাজনীতিতে আর কোনো সন্ত্রাসী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের জায়গা হবে না। আমাদের মিরপুরের কর্মীদের ওপর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস আই টুটুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। অবিলম্বে এস আই টুটুলকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং বিএনপির সব সাংগঠনিক ও প্রাথমিক পদবি থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তারেক রহমানের নিকট আহ্বান থাকবে, আপনার দলের দুষ্ট গরু ও সন্ত্রাসীদের থামান অন্যথায় তারাই বিএনপি ধ্বংস করবে।’
এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ মনসুর বিক্ষোভ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। সেখানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব আকরাম হুসেইন, সংগঠক এম এম শোয়াইব, সদস্য ইমরান নাঈম ও জায়েদ বিন নাসের, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় সহ-মুখপাত্র ফারদিন হাসান।
এনসিপি নেতাদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা এস আই টুটুল বলেন, সোমবার রাতে তিনি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পান একটি মেয়ের সঙ্গে ছয়টি ছেলে একটি জায়গায় জটলা পাকিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছে। পরে তিনি বুঝতে পারেন, ওই মেয়েটির সঙ্গে দুটি ছেলের সম্পর্ক, এটি নিয়েই মূলত তাদের ভেতরে তর্কবিতর্ক হচ্ছে। ওই মেয়ের একজন প্রেমিককে অন্য ছেলেরা মারধর করছেন, উনি নিজের এলাকা বিবেচনায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।