ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় মো. মাসুদ নামের আরও একজনকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার (২১ জুলাই) মাসুদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তিন দিনের মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর উদ্দিন এই রিমান্ড আবেদন করেন। আবেদনে তিনি বলেন, আসামি ঢাকা-১৭ আসনের ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও সেদিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নির্বাচনকে কলুষিত করার জন্য হিরো আলমের সঙ্গে বিবাদ করেন। তাকে কিল-ঘুষি মেরে বিশ্বের কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেন।
এর আগে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আসামি মাসুদকে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া এ মামলায় গত ১৮ জুলাই দুজনকে রিমান্ডে ও ৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
রিমান্ডে যাওয়া অন্য দুই আসামি হলেন ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেন। আর কারাগারে যাওয়া ৫ আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান মেহেদী, মোজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লা।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি করেন।
বাদী এজাহারে অভিযোগ করে জানান, সোমবার সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্রে পরিদর্শন করতে থাকেন। পরে তিনি বিকেল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। তারপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫ থেকে ৬ সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে।
একপর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতনামা একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেক জন এসে তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।
বাদী এজাহারে আরও অভিযোগ করে জানান, হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যাওয়ার পর বাকি আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে। এ সময় হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী রাজীব, রনি ও আল আমিন তাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারপিট করে জখম করে আসামিরা।