ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাতজনের পরিচয় মিলেছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাতে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন-
১. গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ছানোয়ার কাজী (২৮), তিনি বর্তমানে থাকেন মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায়।
২. গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থানার বিপ্লব হোসেন (৩১), তার বর্তমান ঠিকানা মিরপুর-১১।
৩. গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থানার মাহমুদুল হাসান মেহেদী (২৭), তার বর্তমান ঠিকানা বনানী।
৪. গোপালগঞ্জ সদরের মোজাহিদ খান (২৭), তার বর্তমান ঠিকানা তেজগাঁও পূর্ব নাখালপাড়া।
৫. কুমিল্লা হোমনা থানার মো. আশিক সরকার (২৪), তার বর্তমান ঠিকানা কড়াইল মোশারফ বাজার, রফিক মিয়ার বাড়ি।
৬. শরীয়তপুরের জাজিরা থানার মো. হৃদয় শেখ (২৪), তার বর্তমান ঠিকানা কড়াইল মোশারফ বাজার, আবুল কাসেম মিয়ার বাড়ি।
৭. গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার সোহেল মোল্লা (২৫), তার বর্তমান ঠিকানা খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া।
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় মামলা করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় ১৫/২০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। মামলায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় সাতজন এরই মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম ও তার ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকারসহ প্রতিনিধি রাজীব খন্দকার, মো. রনি, মো. আল-আমিনসহ অনেকে বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় হিরো আলম এবং আমিসহ (মামলার বাদী) প্রতিনিধিরা বিকেল সাড়ে ৩টায় বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শনে যাই। প্রার্থী হিরো আলমসহ আমরা পাঁচ-ছয়জন বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন বেআইনিভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে আমাদের গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে।
একপর্যায়ে বিবাদীরা হত্যার উদ্দেশে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি মারতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজন হত্যার উদ্দেশে দুই হাতে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে এবং অন্য একজন তার তলপেটে লাথি মারলে হিরো আলম রাস্তায় পড়ে যান।
তখন অন্য বিবাদীরা হিরো আলমকে এলোপাতাড়ি কিলঘুসি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে এবং টানাহেঁচড়া করে। ওই সময়ে আমি এবং অপর ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকার মিলে হিরো আলমকে হামলাকারীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তারা আমাকেসহ ব্যক্তিগত সহকারী পরান সরকার, রাজীব খন্দকার, রনি ও আল-আমিনকে মারধর করে জখম করে। এরপর কেন্দ্রে ডিউটিরত পুলিশ এবং একতারা প্রতীকের সমর্থনকারীদের সহায়তায় হিরো আলমসহ আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।
এদিকে হিরো আলমের ওপর হামলার পর সাতজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।