ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছ থেকে গণপরিবহন বা ট্রেনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের মাধ্যমে হয়রানির চেষ্টা করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজারবাগে পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পুলিশের বার্ষিক আজান, ক্বিরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণী সাংবাদবিদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইজিপি।
আইজিপি বলেন, “ঈদযাত্রায় যদি কেউ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান করছি।”
আইজিপি বলেন, “সম্মানিত যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করব, আপনারা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করবেন না। আমরা বেশ কিছুদিন আগেও সমন্বয় সভা করেছি৷ আগামী ১ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পুলিশের সব ইউনিটকে নিয়ে একটি সমন্বয়ে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। এসব সভার মাধ্যমে আমরা সমন্বয়ের কাজটি সেরে নিচ্ছি। ঢাকাসহ বিভিন্ন রেঞ্জ ডিআইজিদের আমরা ব্রিফ করব। ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরীর সমন্বয় করবেন। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য পর্যটন স্পর্টগুলোতে দর্শনার্থীদের একটু ভিড় হতে পারে। তাই সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।“
সরকারের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রশস্ত হয়েছে। উদাহরণে বলা যায়, চন্দ্রায় মাত্র একটি সড়ক ছিল। এখন রাস্তাও অনেক প্রশস্ত হয়েছে আবার ডাইভারশনও হয়েছে। সারা দেশের সড়ক ব্যবস্থাই অনেক উন্নত হয়েছে। এসব কারণে আমি আশা করছি, আমাদের ঈদযাত্রী সাধারণকে নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব। সেই সঙ্গে যথা সময় সবার ঈদ যাত্র সমাপ্ত হবে বলে আমি আশা করছি।”
আইজিপি বলেন, “অন্যান্য বছর যেভাবে আমরা সফলভাবে যাত্রীদের নিরাপদে গমনে সচেষ্ট ছিলাম, এবারও আমরা যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করব। প্রয়োজনে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের ছুটি বাদ দিয়ে হলেও ঈদ যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত কাজ করবে।”