• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২৩ শা'বান ১৪৪৬

অবসরে যাওয়া আমলাদেরও বিষয়েও ব্যবস্থা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
অবসরে যাওয়া আমলাদেরও বিষয়েও ব্যবস্থা
লোগো

৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারকে সহযোগিতা ও টিকিয়ে রাখাসহ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে যারা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তাদের খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি যারা এরই মধ্যে অবসরে গেছেন, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত) দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) মধ্যে যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে, তাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর যাদের চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হয়নি, তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হবে।

উপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তালিকায় প্রশাসনের আরও অনেক কর্মকর্তার নাম রয়েছে, যারা গত ১৫ বছরে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোতে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি গত তিন মেয়াদে আওয়ামী সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যদের পিএস হিসেবে কাজ করেছেন, এমন অনেককে এরই মধ্যে ওএসডি করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে।

এর মধ্যে চাকরির বয়স ২৫ বছর পূর্ণ হওয়া ২২ জন সাবেক ডিসিকে (বর্তমানে সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপসচিব) বৃহস্পতিবার বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করার অভিযোগে যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার একই কারণে ৩৩ জন সাবেক ডিসিকে ওএসডি করা হয়েছে। এরও আগে ১২ সাবেক ডিসিকে ওএসডি করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী আমলে প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে যারা (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, মন্ত্রীদের পিএস) দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।

চাকরি হারানোর পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার ঘানি টানার আশঙ্কায় তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘যারা অবসরে চলে গেছেন, কিন্তু সার্ভিসে অনেকের নামে কোটি কোটি টাকার (দুর্নীতির) অভিযোগ, এ বিষয়ে আমরা দুদকে মামলা দিচ্ছি। অবসরে যাওয়া মানেই যে মুক্তি, তা নয়। এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, অবসরে যাওয়ার পরও ফলোআপ হচ্ছে। জনস্বার্থে সরকার এখানে ছাড় দেবে না। সূত্র : কালের কণ্ঠ

Link copied!