আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। বিগত সময়ে দেখেছি বিভিন্ন দল তাদের কর্মসূচি পালন করে আসছে। ‘বাংলাদেশ আমার অহংকার’ এই মূলমন্ত্রকে লালন করে দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাবে র্যাব। এ বিষয়ে গোয়েন্দা তৎপরতা চলমান।”
সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপে মহানবমীর আয়োজন পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, “রাজনৈতিক দল তাদের সমাবেশ করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাষ্ট্রের নিরাপত্তার বিষয় আমরা দেখব। সেই সঙ্গে কেউ যেন জনগণের সম্পত্তি বিনষ্ট না করতে পারে, সেটাও দেখব।”
পূজামণ্ডপে র্যাব নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে জানিয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার বলেন, “পূজা মণ্ডপগুলোতে র্যাব সদস্যরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন। সেইসঙ্গে এলাকাভিত্তিক পূজা কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে। কোনো মহল যেন অপচেষ্টা চালাতে না পারে সেই ব্যাপারে কড়া নজর রয়েছে সারা দেশে।”
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নাশকতার আশঙ্কা নেই। সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা রোধে কাজ চলছে। নারী দর্শনার্থীরা ইভটিজিং কিংবা হেনস্তার শিকার না হয় সেজন্য গোয়েন্দা নজরদারি চলমান। বিজয়া দশমীতে বিশেষ নিরাপত্তা দেবে র্যাব। ধর্ম যার যার উৎসব সবার, এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। গোয়েন্দারা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় নিয়োজিত রয়েছেন।”
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, “এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে। তাদের আইনের আওতায় আনতে র্যাবের সাইবার ইউনিট কাজ করছে।”