বেসরকারি সংস্থা আরণ্যক ফাউন্ডেশন প্রথমবারের মতো জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিকল্প সুরক্ষা কর্মকৌশল প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। সংগঠনটি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ বন বিভাগের সুফল প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর বন ভবনে আরণ্যক ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘আইডেন্টিফিকেশন অফ ওইসিএম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে অন্তত ৪৫টি আদার ইফেক্টিভ এরিয়া-বেজড কনসারভেশন মেজারস (ওইসিএম) চিহ্নিতকরণ, বাছাই ও নির্বাচনের জন্য একটি জাতীয় কৌশল প্রণয়ন করা হবে।
কর্মশালায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, “ওইসিএমর সফল বাস্তবায়ন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। দেশের সাংবিধানিক অঙ্গীকার ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতিগুলোর আলোকে ওইসিএম প্রণয়ন করতে হবে।”
এ বিষয়ে কর্মশালার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, “বন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে উৎসাহিত করতে হবে।” এছাড়া ওইসিএম যাচাইকরণ প্যানেলে জীববৈচিত্র্য ও ওয়াটারশেড বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন অতিরিক্ত সচিব।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, “ওইসিএম কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষিত থাকবে। এ লক্ষ্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠী, বেসরকারি খাত ও সরকারি কর্মকর্তাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
আরণ্যক ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রকিবুল হাসান মুকুল বলেন, “সংশ্লিষ্ট বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যের স্বাভাবিক সংরক্ষণ করাই ওইসিএমর মূল উদ্দেশ্য। বর্তমানে পুরো বিশ্বে মোট ৮২৯টি ওইসিএম রয়েছে।”
কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাকিবুল আমিন, ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটি (ডব্লিউসিএস) বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার এলিজাবেথ ফাহরনি মানসুরসহ বন বিভাগ, পরিবেশ বিভাগ, বিশ্বব্যাংক, ইউনাইটেড স্টেটস ফরেস্ট সার্ভিস, সিএনআরএসের কর্মকর্তারা।